সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের কার্যক্রম জোরদার করা হবে

Category: ফোকাস Written by Shafiul Azam

রাসেল উদ্দীন:চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) নুরুল্লাহ নুরী বলেছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ দেশের অন্যতম প্রাচীন জেলা পরিষদ হিসাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ, নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষাসহ নানা সামাজিক ইস্যুতে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যক্রম জোরদার করবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসাবে মানুষের এসমস্ত সমস্যাগুলো সমাধান করতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলোর সাথেও যৌথভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। যাতে করে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোর পাশাপাশি বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ন বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর অবদান রাখবে।

আজ ০৬ আগষ্ট ২০২৫ইং স্থায়ীত্বশীল তামাক নিয়ন্ত্রণে বেরসরকারী সংগঠনসমুহকে সম্পৃক্ততা জরুরি বিষয়ে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর সহযোগিতায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই বাংলাদেশ এর আয়োজনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং ক্যাব বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশনেন বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরে যুগ্ন সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, বিশিষ্ট কলামিস্ট মুসা খান, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের সভাপতি জানে আলম, চান্দগাও ল্যাবরেটরী পাবলিক স্কুলের সভাপতি ইসমাইল ফারুকী, ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, সাংবাদিক কমল চক্রবর্তী, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ফরিদা বেগম, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, সিএসডিএফ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী শম্পা কে নাহার, যুব ক্যাব কর্নফুলীর সাধারন সম্পাদক সিদরাতুল মুনতাহা প্রমুখ।

সভায় বলা হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে নির্দেশনা মোতাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমুহকে তামাক নিয়ন্ত্রণ, নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে বরাদ্দ রাখা ও বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবহার বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে নিয়মি প্রতিবেদন প্রদানের জন্য সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা থাকলেও অধিকাংশ স্থাণীয় সরকার প্রতিষ্টানগুলো এখাতে বরাদ্দ রাখা ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে তেমন অগ্রগতি নাই। ধুমপান, তামাক নিয়ন্ত্রণসহ নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা না থাকায় মানুষকে প্রতিনিয়তই নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এক্ষেত্রে সামাজিক আ্ন্দোলনই পারে সমাজকে এধরণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দিতে। তাই স্থাণীয় সরকার প্রতিষ্টান, মানব হিতৈষী প্রতিষ্টান ও করপোরেট গ্রুপ এধরনের কাজে এগিয়ে আসলে সামাজিক অস্থিরতা বন্ধ করা সম্ভব হতো।