
এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: রাজকীয় নেদারল্যান্ডস্ দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া ও সহযোগী সংস্থা উত্তরণ-এর উদ্যোগে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৫টি জেলার ১২টি উপজেলায় মাইক্রো-ওয়াটারসেড সরেজমিন পুনঃখনন কর্মসূচি চলমান রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় পুনঃখননকৃত মাইক্রো-ওয়াটারসেড-এর অংশ হিসেবে ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নের কাইনমারা ও ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের ঘুরুনিয়া মাইক্রো-ওয়াটারসেড পরিদর্শন করলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ ওবায়দুর রহমান মন্ডল।
সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার সফল ফর ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস, প্রোগ্রাম অফিসার সুব্রত রায় ও ওয়াটার ক্লাস্টার অফিসার শুকলা মন্ডল মাইক্রো-ওয়াটারসেড পুনঃখননের সুফল পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডলকে অবহিত করেন।
পরিচালক ওবায়দুরের প্রশ্নের জবাবে সলিডারিডাড প্রতিনিধিরা জানান, খাল পুনঃখনের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফসলে সেচ খরচ কমেছে এবং জলবায়ূ সহিষ্ণু কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারন সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ফসলী মাঠের উর্বরতা সংরক্ষণের জন্য প্রধান প্রধান ফসলের সার সুপারিশ করা হচ্ছে। পরিচালক ওবায়দুর মন্ডল সলিডারিডাড ও উত্তরণের কর্ম পরিকল্পনা জেনে ও দেখে সন্তষ্টি প্রকাশ করেন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে সম্ভব সব ধরণের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন। তিনি স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আরও বেশি খাল খনন ও পুনঃখননে বিএডিসি, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডি-এর কর্মকর্তাদের সাথে নিবিড় সম্পর্কে উন্নয়নের জন্য অনুরোধ করেন।
পরিচালক ওবায়দুর রহমান এলাকার সংশ্লিষ্ট কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি খালের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য সকলকে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহবান জানান।
ওয়াটার ক্লাস্টার অফিসার শুকলা মন্ডল সুত্রে জানা যায়, জেলার ডুমুরিয়াতে ১৩টি মাইক্রো-ওয়াটারেসেড পুনঃখনন করা হয়েছে। কাইনমারা ও ঘুরুনিয়া মাইক্রো-ওয়াটারসেডের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ১৯০০ মিটার ও ১১৬৫ মিটার বলে সলিডারিডাড কর্তৃপক্ষ উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন। কাইনমারা মাইক্রে-ওয়াটারসেড খননের জন্য ৮৯৬৫০০ ও ঘুরুনিয়া মাইক্রো ওয়াটারসেড খননের জন্য ১৪২৯১৫০ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে প্রোগ্রাম অফিসার সুব্রত রায় জানান। তিনি আরও বলেন, উপকারভোগী কমিউনিটির কৃষকরা মোট খরচের উপর গড়ে খরচের শতকরা ১০ ভাগ নির্বাহ করেছেন।
কমিউনিটির সদস্যরা ভবিষ্যতে খালটির নাব্যতা ঠিক রাখা ও পানির প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য নিজেদের উদ্যোগে সঞ্চয় করছেন বলে কাইনমারা মাইক্রো-ওয়াটার সেডের সভাপতি মোঃ আবদুল্যাহ ও ঘুরুনিয়া মাইক্রো-ওয়াটারসেডের সভাপতি সরোজ কুমার বিশ্বাস, সহ-সভাপতি বনিতা মন্ডল ও সেক্রেটারী কমলেশ মন্ডল জানান।
খাল পরিদর্শনকালে পরিচালকের সাথে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নজরুল ইসলাম, পার্টনার প্রকল্পের কৃষিবিদ মোসাদ্দেক হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইনশাদ ইবনে আমিন ব্লক পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাগন উপস্থিত ছিলেন।