কক্সবাজারে সামুদ্রিক শৈবাল চাষের গবেষণা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Category: ফোকাস Written by Shafiul Azam

এগ্রিলাইফ ডেস্ক: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটরে বাস্তবায়নে কক্সবাজারে সীউইড বা সামুদ্রিক শৈবাল চাষের গবেষণা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে উপকূলীয় এলাকায় সামুদ্রিক শৈবালের বাণিজ্যিক চাষ পদ্ধতি,প্রক্রিয়াজাতকরণ,পুষ্টি নিরাপত্তা, ব্লু ইকোনমি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং এই বিষয়ে গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুর এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মশিউর রহমান এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুর এর পরিচালক ড. মাজহারুল আনোয়ার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব বলেন, সী উইড বর্তমানে সুনীল অর্থনীতির একটি অপার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।যা একটি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ খাদ্য, ওষুধ, কৃষি,সার ও শিল্পে নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে। সামুদ্রিক শৈবাল বা সী উইডসে রয়েছে নানাবিধ পুষ্টি ও ভেষজ গুনাগুন। এর হাই ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ওমেগা থ্রী সহ বিভিন্ন খনিজ উপদান মানব দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যত্নে অত্যান্ত কার্যকর।এ ছাড়া সি-উইড রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, আধুনিক ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। ভবিষ্যতে কৃষি ঝুঁকি, প্রযুক্তির অগ্রগতি, যান্ত্রিকীকরণ, পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার, উন্নত বাজার ব্যবস্থাপনা, রফতানিসহ সকল বিষয় সমন্বিতভাবে ২৫ বছরের জন্য এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালক ড, মো: আব্দুল্লাহ ইউসুফ আকন্দ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড.আব্দুস সালাম, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নথু রাম সরকার বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে সীউইড প্রজেক্টের রিসার্চ প্রগ্রেস নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন গবেষণা বিভাগ কক্সবাজারএর উদ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোস্তাক আহমেদ।

এ সময় কৃষি,মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা, গবেষক,ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সী-উইড চাষীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় গবেষক, বিজ্ঞানী এবং স্টেকহোল্ডাররা সামুদ্রিক শৈবালের চাষ পদ্ধতি, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং বায়োরিফাইনারি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এর প্রতিটি অংশ কাজে লাগিয়ে পণ্য তৈরির তথ্য উত্থাপন নিয়ে আলোচনা করেন।

কর্মশালা শুরুর আগে শহরের নুনিয়ারছড়া সীউইড চাষ পরিদর্শন করেন সচিব ও উদ্বর্তন কর্মকর্তারা। (মো: লোকমান হাকিম, কৃতসা, কক্সবাজার।)