এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক:বাংলাদেশে ডিম ও মুরগি অন্যতম প্রধান প্রাণিজ আমিষের উৎস। সাধারণ মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে এই খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ডিম ও মুরগির বাজারমূল্যের অস্বাভাবিক ওঠানামা সাধারণ জনগণ ও খামারি উভয়ের জন্যই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারমূল্য স্থিতিশীল না থাকায় একদিকে ভোক্তারা চড়া দামে পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন, অন্যদিকে খামারিরাও ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই সরকারের পক্ষ থেকে একটি কার্যকর মূল্য নিয়ন্ত্রণ নীতি গ্রহণ করা সময়ের দাবি।
চলতি মাসের ২০,২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি তিনদিন ব্যাপি ১৩ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো পূর্বাচলে অবস্থিত "আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা" প্রাঙ্গনে বিশাল পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে। মেলার সফলতা কামনা করে বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স এন্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফিটা)-এর মহাসচিব জয়ন্ত কুমার দেব এসব কথা বলেন। পাশাপাশি এসব সমস্যা সমাধানে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে মূল্য নিয়ন্ত্রণ নীতি তৈরি করা দরকার, যাতে দাম ওঠানামার কারণে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। একটি ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থা (অনলাইন প্ল্যাটফর্ম) চালু করা যেতে পারে, যেখানে খামারিরা সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। পাশাপাশি উৎপাদন পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তি ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ব্যবহার বৃদ্ধি করা যেতে পারে। বাজারে পর্যাপ্ত তথ্য আদান-প্রদানের জন্য মোবাইল অ্যাপ বা অনলাইন ডাটাবেস তৈরি করা যেতে পারে বলে মনে করেন ন্যাচার কেয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি লিঃ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়ন্ত দেব ।
ডিম ও মুরগির বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকারকে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে, যা উৎপাদক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করবে। কার্যকর মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে দেশের পোলট্রি শিল্প টেকসই হবে এবং সাধারণ জনগণের জন্য ডিম ও মুরগির সহজলভ্যতা বজায় থাকবে।
বরাবরে ন্যায় এবারের পোল্ট্রি মেলায় ন্যাচার কেয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি লিঃ হাজির হবে তাদের কার্যক্রম নিয়ে। মেলায় তাদের স্টল নম্বর-Hall-B, Stall nos.: 100-108 (9 stalls); তিনি সকল উদ্যোক্তা ও দর্শনার্থীদের তাদের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনের জন্য আন্তরিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।