রাজধানী প্রতিনিধি: চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ২০, ২১ এবং ২২ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ১৩ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলা। বাংলাদেশে ১৯৯৯ সালে প্রথম এই পোল্ট্রি শো'টি অত্যন্ত স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় ভেন্যু ছিল আগারগাঁওয়ে আইডিবি ভবন। এরপর আস্তে আস্তে বর্ধিত কলেবরে এই পোল্ট্রি শো'টির ব্যাপ্তি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে পোল্ট্রি খামারিদের মধ্যে। কারণ একটি পোল্ট্রি শিল্প টেকসই পোল্ট্রি শিল্প গড়ে তুলতে হলে যা যা প্রয়োজন, তার সবকিছুই একই ছাদের তলে এ মেলায় আসলে উদ্যোক্তারা জানতে পারেন।
কথাগুলো বলছিলেন নারিশ পোল্ট্রির সিনিয়র ডিজিএম ডা. মুছা কালিমুল্লাহ। আয়োজকদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একই ছাদের নীচে অ্যানিমেল হেলথ সামগ্রী দেখা যায়, তেমনই পোল্ট্রি সেক্টরের ফিড মিল, বিভিন্ন মেশিনারিজ, হ্যাচারি ইক্যুইপমেন্ট এবং এগুলোর উৎপাদন করতে কী কী প্রযুক্তি প্রয়োজন হয় সবই জানতে পারেন।
Sustainable Poultry for Emerging Bangladesh” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে চলতি মাসের ২০,২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি তিনদিন ব্যাপি ১৩ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো পূর্বাচলে অবস্থিত "আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা" প্রাঙ্গনে বিশাল পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ১৮-১৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রেডিসন ব্লু তে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক কারিগরি সেমিনার।
তিনি বলেন, মেলাতে যে সব কারিগরি প্রযুক্তিগুলো প্রদর্শিত হয়, সেমিনারগুলো অনুষ্ঠিত হয় তার মাধ্যমে টেকসই পোলট্রি শিল্প করতে যা যা প্রয়োজন তা জানতে পারেন উদ্যোক্তারা। ফলে আমাদের দেশের পোল্ট্রি শিল্প একটি যুগোপযোগী পর্যায়ে চলে যেতে সক্ষম হচ্ছে । এই শিল্পের অনেক চ্যালেঞ্জ সম্পর্কেও তিনি আমাদেরকে জানান।
তিনি বলেন, আমাদের যেমন নতুন প্রযুক্তি আসছে, নতুন নতুন উদ্যোক্তা আসছে ৷ তেমনি বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এরমধ্যে অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নতুন নতুন রোগ বালাই। এসব সম্পর্কে মেলায় বেশি বেশি উপস্থাপিত হতে হবে। কীভাবে এসব রোগগুলো মোকাবেলা করা যায় এবং রোগ প্রতিরোধ করতে গেলে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সে সচ বিষয়গুলি বেশি বেশি উপস্থাপিত হতে হবে।
এবারের পোল্ট্রি মেলায় নারিশ পোল্ট্রিও হাজির হবে তাদের কার্যক্রম নিয়ে। মেলায় তাদের স্টল নম্বর-Hall -B, Category-A, Stall : 127-135 (9 stall); তিনি সকল উদ্যোক্তা ও দর্শনার্থীদের তাদের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনের জন্য আন্তরিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।