রাজধানী প্রতিবেদকঃ ৯০-এর দশকে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প আজ আন্তর্জাতিক মানের উৎপাদন দক্ষতায় উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। জিপি ফার্ম, প্যারেন্ট স্টক, বাণিজ্যিক লেয়ার ও ব্রয়লার খামার ব্যবস্থাপনায় দেশটি অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। শক্তিশালী অবকাঠামো ও দক্ষ মানবসম্পদের সমন্বয়ে ডিম ও মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলা উপলক্ষে Argil NE Bangladesh-এর সিইও এ.কে.এম. হুমায়ুন কবির বলেন, "পোল্ট্রি শিল্পের আজকের এই অবস্থানে পৌঁছাতে খামারি থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের অবদান রয়েছে। এই অর্জনকে আরও সুসংহত করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।"
হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেন, উন্নতমানের ফাংশনাল ফিড অ্যাডিটিভস ব্যবহারের ফলে পুষ্টিকর ও নিরাপদ ফিড উৎপাদন সহজতর হয়েছে। তবে, ভোক্তাদের চাহিদা মেটানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের জন্য দরকার নিরাপদ ফিড যা দিয়ে নিরাপদ মুরগি ও ডিম উৎপাদন করে ভোক্তাদের চাহিদা মেটানো যায়। এজন্য পোল্ট্রি নীতিমালার সংস্কার ও সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন। তিনি সংশ্লিস্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রণী ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান।
১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলায় Argil NE Bangladesh তাদের বাজারজাতকৃত পণ্য সম্পর্কে আপডেটেড তথ্য প্রদান করবে। হুমায়ুন কবির আগ্রহী দর্শনার্থী, খামারি ও উদ্যোক্তাদের মেলা পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাদের প্যাভিলিয়নটি HALL-A (6 stalls), Stall: 293–295 ও 302–304-এ অবস্থিত।
পোল্ট্রি শিল্পের এই অগ্রগতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং ভবিষ্যতে এ খাতের আরও উন্নয়নের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।