নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ুসহনশীল কৃষি সম্পর্কে অংশীজনের সাথে পরামর্শমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ২৮ এপ্রিল নগরীর খামারবাড়িতে অবস্থিত কৃষি তথ্য সার্ভিসের সম্মেলনকক্ষে এসআরডিআই এবং কডএইডের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদার।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের (এসআরডিআই) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একেএম আমিনুল ইসলাম আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার ড. সুরজিত কুমার সাহা, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কিশোর কুমার মজুমদার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহম্মাদ আশিক ইকবাল খান এবং এসআরডিআইর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএফএম মামুন।
কর্ডএআইডির ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার কো-অর্ডিনেটর মো. জয়নাল আবেদিনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আলমগীর কবীর, ডিএইর অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. রেজাউল হাসান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, এসআরডিআইর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আশিক এলাহি, কডএইডের এরিয়া ম্যানেজার (উপককূলীয় এলাকা) অরুন গাঙ্গুলী, কডএইডের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বুলবুল হোসেন, ইরির কর্মকর্তা মানিক দেবনাথ প্রমুখ।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় কৃষি বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে সম্ভাবনাও আছে যথেষ্ট। এসব এলাকায় প্রতিকূলসহনশীল জাতগুলো ব্যবহার করলে ফসলের আবাদ এবং উৎপাদন উভয়ই বাড়ানো সম্ভব। তিনি আরো বলেন, আর খোরপোষের কৃষি নয়। এখনকার কৃষি হচ্ছে বাণিজ্যিকীকরণ। তাই এ পেশায় কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছেন বেশ।