বগুড়ায় মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণে আঞ্চলিক কর্মশালা

Category: এগ্রিবিজ এন্ড টেক্ Written by Shafiul Azam

মোঃ গোলাম আরিফ: মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প এর আওতায় আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ মে ২০২৫ সকাল ১০ টায় পর্যটন মোটেল, বগুড়া’র সম্মেলণ হলে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ আব্দুর রহিম, পরিচালক, উদ্ভিদ সংগোনিরোধ উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিচালক বলেন, মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধিগুণ সম্পন্ন খাবার। এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। স্বাদ, পুষ্টি ও ঔষধিগুণের কারণে এরই মধ্যে এটি সারা দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে জমির অপ্রতুলতা, বেকারত্ব, পুষ্টিহীনতা, মাথাপিছু আয়ের স্বল্পতা, মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান, সর্বোপরি দারিদ্র্য বিমোচন ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় মাশরুম একটি সম্ভাবনাময় ফসল। এদেশের আবহাওয়া মাশরুম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। সম্ভাবনাময় ফসল মাশরুম চাষের জন্য কোনো উর্বর জমির প্রয়োজন হয় না। দেশে মাশরুম উৎপাদন যতই বাড়ানো হোক না কেন তাতে কোনো ফসলেরই উৎপাদন কমার সম্ভাবনা নেই। এতে সাধারণত কোনো রোগবালাই হয় না এবং কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না, বিধায় মাশরুম নিরাপদ খাদ্য।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া। কৃষিবিদ মোঃ আদনান বাবু, বহিরাঙ্গন কর্মকর্তা এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ মতলুবর রহমান, অধ্যক্ষ, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঈশ^রদী, পাবনা এবং কৃষিবিদ সোহেল মোঃ শামসুদ্দীন ফিরোজ, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া।

প্রকল্প কার্যক্রম ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- কৃষিবিদ ড. আখতার জাহান কাঁকন, প্রকল্প পরিচালক, মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প। এসময় মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, সকল শ্রেণির কৃষি শিক্ষা পাঠ্যপুস্তকে মাশরুম সম্পর্কিত অধ্যয় সংযোজন, ইউনিয়ন পর্যায়ে মাশরুম সেন্টার স্থাপন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা, পুষ্টি বিবেচনায় মাশরুমকে মাংসের পরিবর্তে গ্রহণ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবস্থা, রকমারি খাবার তৈরি, বিভিন্ন মেলায় স্টলের মাধ্যমে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা, বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরায় লিংকেজ তৈরি, উৎপাদিত পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত করা, নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি উঠে আসে।

কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, হর্টিকালচার সেন্টার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, বারি, কৃষি তথ্য সার্ভিসসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগ, কৃষি উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ১৫০ জন অংশগ্রহণ করেন।