ফিশ ফিড ফর্মুলেশনে বিউটারিক এসিডের যথাযথ ব্যবহার মাছের অন্ত্রের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করে তোলে-পুষ্টিবিদ সাইফি নাসির

Category: এগ্রিবিজ এন্ড টেক্ Written by Shafiul Azam

এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক: মৎস্য খাতে উৎপাদন বাড়াতে এবং খামারের খাদ্য ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুষ্টিবিদরা সবসময়ই নতুন নতুন ইনোভেটিভ উপাদান অনুসন্ধান করেন। মাছের সুস্থ বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ এবং পুষ্টি শোষণ নির্ভর করে মূলত তাদের অন্ত্রের কার্যক্রমের ওপর। এ কারণে ফিড ফর্মুলেশনে অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তরুণ অ্যাকোয়া পুষ্টিবিদ সাইফি নাসির। তাঁর মতে, বিউটারিক এসিড (Butyric Acid) বা n-বিউটানোয়িক এসিড এই ক্ষেত্রে একটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ও কার্যকর সমাধান।

বিউটারিক এসিড একটি প্রাকৃতিক কার্বক্সিলিক অ্যাসিড, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা উৎপন্ন হয় এবং অন্ত্রের কোষসমূহকে শক্তি জোগায়। এটি লিপোফিলিক হওয়ায় সহজে কোষের বাধা ভেদ করে অন্ত্রের ভেতরকার টিস্যুর বৃদ্ধি, গঠন উন্নয়ন এবং পরিপাকক্রিয়া সক্রিয় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া এটি সালমোনেলাসহ ক্ষতিকর রোগজীবাণুর বৃদ্ধি দমন করে মাছের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

পুষ্টিবিদ সাইফি নাসির জানান, ফিডে বিউটারিক এসিড ব্যবহারের মাধ্যমে মাছের অন্ত্রের ভেতরের পরিবেশ সুস্থ থাকে, প্রিবায়োটিক-সমৃদ্ধ ডায়েটে এর কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি পায়, এবং ফলস্বরূপ মাছের বৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি এবং খাদ্যের রূপান্তর দক্ষতা (FCR) উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়। ফলে এটি অ্যান্টিবায়োটিকের একটি নিরাপদ বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে যা টেকসই অ্যাকোয়া কালচারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বিউটারিক এসিড একটি করোসিক পদার্থ হওয়ায় সঠিক ডোজ নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরি। মাছের প্রজাতি, আকার ও বয়স অনুসারে মাত্রা পরিবর্তিত হয়। তাই বিশেষজ্ঞ অ্যাকোয়া পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া এর ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

সব মিলিয়ে ফিশ ফিড ফর্মুলেশনে বিউটারিক এসিডের যথাযথ ব্যবহার মাছের অন্ত্রের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করে তোলে, যা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং খামার পরিচালনায় ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এমনটাই মনে করছেন পুষ্টিবিদ সাইফি নাসির।