গ্রাম-ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাপ্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন, কক্সবাজার

Category: ফারমার্স এন্ড ফার্মিং প্রডাক্টস্ Written by Shafiul Azam

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বিভিন্ন তথ্যমতে মোটামুটি ৮০ ভাগ বাংলাদেশী এখনো গ্রামেই থাকেন। যাদের প্রায় সবাই দেশী মুরগী লালনপালন করেন। প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে দিন দিন আমরা এতো বেশী পরিমাণে ব্রয়লার মাংস নির্ভর হয়ে যাচ্ছি কেন? উত্তরটা হচ্ছে, দেশী মুরগীর মৃত্যুর হার অনেক বেশী। খেয়াল করলে দেখবেন, গ্রামের মহিলারা সারা বছরই মুরগীর মাধ্যমে ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটিয়ে থাকেন। কিন্তু ২০-৩০ দিন যেতে না যেতেই, বাচ্চাগুলো ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে মারা যায়, চুনা পায়খানায় মারা যায়, মাথা ঘুরে ঘুরে মারা যায়। একটু বড়ো হলে, চোখের চারপাশে গুটি গুটি কি জানি উঠে মারা যায়।

এই যে এতো মৃত্যু, সমাধানটা কি?
খুব সহজ, সময়মতো মুরগীকে টিকা দেওয়া। মুরগীর টিকাগুলোও খুব সহজ- বিসিআরডিবি, আরডিবি, গামবোরো, ফাইল ফক্স, ফাউল কলেরা। এই কয়টি টিকা নিয়মমাফিক প্রদান করলেই রোগবালাই থেকে মুরগীকে অনেকখানি রক্ষা করা যাবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, প্রত্যন্ত গ্রামে এই সেবা কিভাবে পৌঁছানো যায়?
,
পিকেএসএফ, ইফাদ ও ড্যানিডার অর্থায়ন এবং কারিগরি সহায়তায় কোস্ট ফাউন্ডেশন, কক্সবাজারে আরএমটিপি পোল্ট্রি প্রকল্পের মাধ্যমে সদর ও রামু উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম-ওয়ার্ড পর্যায়ে মুরগী লালন পালনের উপর ট্রেনিং পরিচালনা করে আসছে। উক্ত ট্রেইনিংগুলোতে মুরগী পালনের তথ্য উপাত্ত গুলো মোখিকভাবে বুজানোর পর, অনস্পট একটি টিকাপ্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। যেখানে গ্রামের মানুষজন তাদের মুরগীগুলো নিয়ে আসেন এবং টিকাগ্রহন করেন।
,
আশা করা যায়, উক্ত প্রকল্প শেষে অত্র অঞ্চলে মুরগী মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে। জনগন অনেক সচেতন হবে এবং নিয়মিত টিকা গ্রহনে অভ্যস্ত হবেন। দেশী মুরগীর মোট উৎপাদন বাড়বে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আবারো দেশী মুরগির স্বাদ পাবে।