কক্সবাজারে টীম কর্ণফুলীর মাটি পরীক্ষা কার্যক্রমের সফল সমাপ্তি

Category: ফারমার্স এন্ড ফার্মিং প্রডাক্টস্ Written by Shafiul Azam

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: চট্টগ্রাম বিভাগীয় গবেষণাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.এন.এম. জাহাঙ্গীরের তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার কর্ণফুলী কর্তৃক কক্সবাজার সদর উপজেলা ও চকোরিয়া উপজেলায় মাটি পরীক্ষা পূর্বক কৃষকের মাঝে সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর উপজেলার ৫২জন কৃষক ও চকোরিয়ার ৫০জন কৃষকের ফসলী জমির মাটি এনালাইসিস করে সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মো: জাহিদ হাসান। টীম কর্ণফুলীর দলনেতা রায়হানুল ইসলাম ও সদস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: আবুল বাশার ও আফনান হোসাইন চৌধুরী। উল্লেখ্য গত ১ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার জেলার দুটি উপজেলা(চকোরিয়া ও কক্সবাজার সদর)এর মাটি পরীক্ষা করে ভ্রাম্যমাণ ল্যাব কর্ণফুলী।

‘মাটি পরীক্ষা করে সার দিন, সারের অপচয় কমিয়ে অধিক ফসল ঘরে নিন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে চলতি রবি মৌসুমে এসআরডিআইর ১০টি ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগারের মাধ্যমে সারাদেশে চলছে কৃষক সেবা কার্যক্রম। এর অংশ হিসেবে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল) কর্ণফুলীর উদ্যোগে এই সার সুপারিশ কার্ড বিতরণের আয়োজন করা হয়। এরই মাধ্যমে রবি মৌসুমে টীম কর্ণফুলীর ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া কৃষক সেবা ৭ ডিসেম্বর সফলভাবে শেষ হয়।

এবারের ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের কার্যক্রমের প্রচার প্রসারে প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ব্যাপক সহযোগিতা ছিলো বিশেষ করে অনলাইন পোর্টাল এগ্রিলাইফ২৪.কম মাটি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাটি পরীক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন ও প্রচার প্রচারণায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় টীম কর্ণফুলীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

কৃষক পর্যায়ে গণসচেতনতার লক্ষ্যে চলতি রবি মৌসুমে চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ উপজেলা ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, পটিয়া, বান্দরবান সদর, চকোরিয়া ও কক্সবাজার সদর উপজেলায় এই ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের ককার্যক্রম পরিচালিত হয়। কর্মসূচিতে মাত্র ২৫ টাকার বিনিময়ে মাটি পরীক্ষার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছেন চাষিরা; যার প্রকৃত খরচ ৪শ’ ৪০ টাকা। বাকি ৪ শ’ ১৫ টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। মাত্র ২৫ টাকায় কৃষক ফসলি জমির মাটি পরীক্ষা করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত ও উচ্ছসিত। মৃত্তিকার কার্যক্রম আরও বেশি ছড়িয়ে যাবে, প্রতিটি জেলায় একটি করে মাটি পরীক্ষার গবেষণাগার হবে সেই প্রত্যাশা সকলের।