ডেইরি খামারীদের সুরক্ষার পাশাপাশি ভোক্তাদের সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ ও মাংসের যোগান নিশ্চিত জরুরি

Category: ফারমার্স এন্ড ফার্মিং প্রডাক্টস্ Written by Shafiul Azam

রাজধানী প্রতিনিধি: দেশের ডেইরি খামারীদের সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ভোক্তাদের সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ ও মাংসের যোগান নিশ্চিত জরুরি। তবে এর জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা রয়েছে যেগুলোকে চিহ্নিত করে আশু পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। আর এসব চ্যালেঞ্জ ও সমস্যাগুলির সমাধানে সরকার, সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, খামারীদের সংগঠন সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে।

আজ রবিবার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্মারস এসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর এসব কথা বলেন, নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ান।

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্মারস এসোসিয়েশন-এর সিনিয়র সভাপতি ডা. মো: কামরুজ্জামান (খোকন), সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ,সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভুট্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আসিফুল ইসলাম সহ কার্যর্করী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

ডেইরি ও ফ্যাটেনিং খামারীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন বিষয়াদি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ ও মাংসের যোগান দিতে চায় বাংলাদেশ ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্মারস এসোসিয়েশন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ডেইরি ও ফ্যাটেনিং খামারের বিদ্যুৎ ও পানির বিল কৃষির আওতায় আনা প্রয়োজন। অসম বিদ্যুৎ বিলের কারণে তাদের উৎপাদন বেড়ে যায়। দেশে দুধ ও মাংসের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ও জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ ও মাংস যোগান দিতে এ বিষয়টি অতীব জরুরী।

এ সময় মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়া অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে খামারী নেতৃবৃন্দের কথা শোনেন এবং তার দপ্তরের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। কিছু কিছু কাজ চলমান রয়েছে যেগুলো সমাধান হবার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

খামারিদের জন্য গো-খাদ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা, খামারীদের জন্য উন্নত জাতের দুধ, মাংস বা ডুয়েল পারপাস জাতের বুলের সিমেন সরবরাহ নিশ্চিত করা, এফ,এম,ডি ও এল,এস,ডি রোগ নির্মূলে সরকারিভাবে প্রজেক্ট-এর মাধ্যমে ফ্রি ভ্যাকসিন সরবরাহ করা গেলে খামারগুলো রক্ষা পাবে বলে মনে করেন এ শিল্পে জড়িত সকল পর্যায়ের খামারীরা।