এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: পোল্ট্রি শিল্পকে লাভজনক ও নিরাপদ করতে হলে এশিল্পকে টেকসই প্রযুক্তিতে পরিনত করা দরকার আর যেকোনো একটা টেকনোলজিকে টেকসই করতে গেলে ফার্মার্স ফ্রেন্ডলি হতে হবে। ফার্মার্স ফ্রেন্ডলি না হলে খামারী সেটা গ্রহণ করবে না। যেমন আফ্রিকার মাগুর একটা সময় দেশে এসেছিল, সেটা কিন্তু সাস্টেইন করেনি। কারণ দেখা যাচ্ছে এই মাগুর মানুষকে কামড়াচ্ছে এনিমেলকে কামড়াচ্ছে। পুকুরের অন্য মাছ খেয়ে ফেলছে। অনেক বড় সাইজ ও উৎপাদন বেশি হলেও আল্টিমেটলি সেটা আর সাসটেইন করেনি খামারী ও ভোক্তা বান্ধব না হওয়ার কারনে।
এজন্য পোল্ট্রি শিল্পকে খামারী, পরিবেশ ও ভোক্তাবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। পরিবেশগত ইস্যু এখন অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ। যে প্রোডাক্ট (ডিম ও মুরগি) উৎপাদন করছে সেটা অবশ্যই কনজ্যুমার এর কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। এবং ডেফিনেটলি নিরাপদ হতে হবে, পুষ্টিকর হতে হবে।
চলতি মাসের ২০,২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি তিনদিন ব্যাপি ১৩ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো উপলক্ষে আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হেলথ সাপোর্ট আমাদের জাতির জন্য একটা বড় লক্ষ হওয়া উচিত। আমরা মেধাবী জাতি গড়তে চাই। "আপনি মেধাবী জাতি চাইবেন কিন্তু পর্যাপ্ত প্রোটিন দেবেন না সেটা তো হয় না"। উন্নত দেশে তারা যে প্রোটিন কনজিউম করে তার ৭০% আসে এনিমেল সোর্স (মাংস, দুধ, ডিম ও মাছ) থেকে আর বাকি ৩০% প্লান্ট ফোর্স থেকে আসে। আমাদের মত গরিব দেশে মাত্র ১২% প্রোটিন এনিম্যাল সোর্স থেকে আমরা পেয়ে থাকি। তারা ৭০% কমজিউম করে বলে উন্নত ও মেধাবী জাতিতে পরিণত হয়েছে আর আমরা মাত্র ১২% কনজিউম করে কিভাবে উন্নত জাতি আশা করতে পারি! গরিব দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এই ১২ শতাংশও কনজিউম করে কিনা সেটারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। হতে পারে এর থেকেও কম আমরা কনজিউম করে থাকি।
আমরা প্রোটিন খাব না আর মেধাবী হব এটা কখনো সম্ভব নয়। আমাদের প্রোটিন কনজামশন অবশ্যই বাড়াতে হবে। মাংস ও ডিম এই দুটি প্রোটিনেরই ভালো উৎস যেহেতু পোল্ট্রি সুতরাং এই সেক্টরের দ্রুত উন্নয়নের মাধ্যমে প্রোটিনজাত খাবারকে ভোক্তার দোরগোড়ায় পৌছাতে হবে। এই গুরু দায়িত্ব পোল্ট্রি শিল্পের সাথে জড়িত ছোট-বড় সব খামারিকেই বহন করতে হবে। সরকারেরও সঠিক নীতিমালার মাধ্যমে এই শিল্পের বিকাশে সহযোগীতায় এগিয়ে আশা জরুরী বলে মনে করেন ড. মো. রুহুল আমিন।