ছাদে কৃষি কাজ করে পারিবারিক সবজির চাহিদা মিটানো যায়

Category: ফারমার্স এন্ড ফার্মিং প্রডাক্টস্ Written by Shafiul Azam

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:খুলনার দৌলতপুরস্থ মেট্রেপলিটন কৃষি দপ্তরের চত্বরে তিন দিন ব্যাপি ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৫ শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আজ ২৬ ফেব্রুয়ারী, বুধবার বিকেলে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন।

ডিএ্ই অডিটোরিয়ামে উপপরিচালক কৃষিবিদ কাজী জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম ফেরদৌস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া-এর সিনিয়ার প্রোগ্রাম অফিসার-মাইক্রো ওয়াটারসেড গভর্ণন্যান্স কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস ও খুলনা হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার দাস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ডি. কৃষিবিদ মারিয়া মিতুল ও দৌলতপুর পাবলা কারিগর পাড়ার প্রগতিশীল কৃষক আসলাম মোড়ল।

অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধনের আগে মেলায় আগত সর্বস্তরের জনসাধারণের অংশগ্রহণে র‌্যালীর নেতৃত্ব দেন এবং ফিতা কেটে শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৫ উদ্বোধন করেন। কৃষিবিদ রফিকুল মেলায় প্রদর্শিত বিভিন্ন প্রযুক্তির স্টলেগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং মেলায় আগত জনসাধারণকে প্রদর্শিত প্রযুক্তি সমুহ ভাল করে বুঝে নিয়ে নিজ নিজ আঙ্গিনা ও ছাদে কৃষি কাজ করার আহবান জানান।

অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, ছাদে কৃষি কাজ করে পারিবারিক সবজির চাহিদা মিটানো যায়। এমনকি বস্তায় উচ্চ মূল্যের মসলা যেমন- আদা চাষ করে পারিবারিক চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ও করা যায।

বিশেষ অতিথি কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস বলেন, এ ধরনের মেলা আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বল্প সময়ে প্রমানিত কৃষি প্রযুক্তিসমুহ বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে প্রদর্শন করা যাতে আগ্রহী জনসাধারণ প্রযুক্তিটি গ্রহণ করে অনুশীলন করেন। তিনি উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের কারিগরি সহযোগিতা নিয়ে কৃষি কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।

মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে তিন দিন ব্যাপি মেলা প্রতিদিন সকাল ৯ টা হতে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডি. কৃষিবিদ তরিকুল ইসলাম ও বেতার টেকনিশিয়ান ফাল্গুনী রায়।