এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) নাচোলের নাসিরাবাদ স্কুল প্রাঙ্গণে “প্রাণীর সুস্থতায় বি.এল.এস-এর বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প” অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটি (বিএলএস), আর সি সি পুকুরিয়া হোপ এবং রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রালের (ডিস্ট্রিক্ট ৬৪, বাংলাদেশ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে এবারের প্রতিপাদ্য ছিল “Animal Health Takes a Team”—যার মাধ্যমে প্রাণীস্বাস্থ্য রক্ষায় সমাজের বিভিন্ন অংশীজনের সম্মিলিত ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার, প্রতিষ্ঠাতা ডীন, ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং সভাপতি, বিএলএস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মো. আখতারুল ইসলাম (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), ডা. মো. কাউসার আলী (উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, নাচোল), রোটারিয়ান ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ (সাধারণ সম্পাদক, বিএলএস ও আইপিপি, রোটারি ক্লাব), মো. এনামুল হক (কোষাধ্যক্ষ, বিএলএস), মো. আব্দুর রহিম (আরএসএম, স্কায়ার ফার্মাসিউটিক্যাল), সুব্রত কুমার পাল (সুশাসন বিশ্লেষক) এবং সেলিনা বেগম (ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পাওয়ার ফুল)। সভাপতিত্ব করেন মো. হাফিজুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক, বিএলএস।
ক্যাম্পে নাচোল এলাকার ২০০টিরও বেশি পরিবারের ছাগলের জন্য স্কায়ার ফার্মাসিউটিক্যাল ও পাওয়ার ফুলের সহযোগিতায় বিনামূল্যে কৃমিনাশক, ভিটামিন ও রুচিবর্ধক ওষুধ বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি, রফিক মেডিসিনের সহায়তায় ১৩০টি গরুকে এন্থ্রাক্স, ক্ষুরারোগ ও লাম্পি স্কিন ডিজিজের টিকা প্রদান করা হয়। প্রাণীদের জন্য পুষ্টিকর সাপ্লিমেন্টও সরবরাহ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ড. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ বলেন, “প্রাণীস্বাস্থ্য কেবল ভেটেরিনারিয়ানদের দায়িত্ব নয়; চিকিৎসক, গবেষক, কৃষক ও ভোক্তাসহ সকলের সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমেই এটি নিশ্চিত করা সম্ভব।” প্রধান অতিথি ড. জালাল উদ্দিন সরদার বলেন, “প্রাণীস্বাস্থ্য নীতিমালা শক্তিশালীকরণ এবং স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি সময়ের দাবি। এই ক্যাম্প প্রাণী ও মানুষের স্বাস্থ্য সংযোগের গুরুত্বকে স্পষ্ট করেছে।” বিশেষ অতিথি ডা. মো. কাউসার আলী স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ ও কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “বিএলএস ও রোটারি ক্লাবের এই যৌথ উদ্যোগ ভবিষ্যতে প্রাণীস্বাস্থ্য সুরক্ষায় জাতীয় ও স্থানীয় সমন্বয়কে আরও জোরদার করবে।”