ভূমি ও মৃত্তিকা সম্পদ ব্যবহার নির্দেশিকার উপর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও প্রগতিশীল কৃষকগণের প্রশিক্ষণ

Category: ফারমার্স এন্ড ফার্মিং প্রডাক্টস্ Written by Shafiul Azam

মো: আমিনুল ইসলাম: সুস্থ জীবনের জন্য সুস্থ মাটি এই স্লোগান কে সামনে রেখে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ মধুপুর গড় অঞ্চলের অম্লীয় মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই ফসল উৎপাদন ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার প্রযুক্তি ব্যবহার শীর্ষক কর্মসূচির আয়োজনে ও অর্থায়নে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহীর সহযোগিতায় আজ ১৯ মে ( সোমবার) কৃষি তথ্য সার্ভিস, রাজশাহীর কনফারেন্স রুমে উপজেলা ভূমি ও মৃত্তিকা সম্পদ ব্যবহার নির্দেশিকার উপর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও প্রগতিশীল কৃষকদের দুই দিনব্যাপি এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।

প্রশিক্ষণে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহীর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমীর মোঃ জাহিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ আজিজুর রহমান । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোছা. উম্মে ছালমা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নূরুল ইসলাম। এসময়ে তিনি আরো বলেন অতিরিক্ত রাসায়নিক সার বিশেষ করে ইউরিয়া সার বা সালফার জাতীয় বেশী ব্যাবহারের কারণে দিন দিন মাটির অম্লতা বৃদ্ধি পাছে। সে জন্য ডলোচুন প্রয়োগ করে মাটির অম্লত্ব দূর করা যায়। তবে মাটির PH মাত্রার উপর জৈব পদার্থ ও বুনটের ভিত্তিতে ডলোচুন প্রয়োগের মাত্রা কম বেশী হতে পারে। সাধারণত মাটির PH ৫.৫ বা এর কম হলে প্রতি শতকে ৪-৮ কেজি ডলোচুন প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে মাটির উর্বরতা বাড়বে এবং রাসানিক সারের ব্যবহারের পরিমাণও কমবে। সর্বোপরি মাটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ভালো থাকবে।

অতিথিগণ বলেন, আমাদের দেশে অতিরিক্ত রাসয়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে প্রতি বছর ২০ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হয়। মাটিতে অতিরিক্ত রাসয়নিক সার ও কীটনাশক, সেচের জল বা নিষ্কাশিত পানি অথবা বৃষ্টির পানির সাথে মাটির ক্ষার বা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ধুয়ে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে অম্লতা বাড়ে। মাটির পিএইচ ৫.৫ এর কম হলে ডলোচুন দিয়ে মাটির শোধন একান্ত প্রয়োজন। তারা আরা বলেন, সুস্থ জীবনের এবং সুস্থ মাটির জন্য মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট ১৯৮৫ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সময়ে পর্যায়ক্রমে সমগ্র বাংলাদেশের উপজেলা ভূমি ও মৃত্তিকা সম্পদ ব্যবহার নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। এ নির্দেশিকা ব্যবহার করে উপজেলা/ইউনিয়ন/ব্লক পর্যায়ে বাস্তব তথ্যভিত্তিক ফসল উৎপাদন পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে মূল্যবান অবদান রাখা সম্ভব হবে।

উক্ত প্রশিক্ষণে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, প্রগতিশীল কৃষক ভাই এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসসহ ৪০ জন অংশ গ্রহণ করেন।