এগ্রিলাইফ রিপোর্টার: মৎস্য খাতের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক দিকনির্দেশনা নয়, বরং মাঠপর্যায়ে খামারিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনকেই সবচেয়ে কার্যকর কৌশল হিসেবে দেখছেন আর বি এগ্রো লিমিটেড-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (ফিশ ফিড) সাইফি নাসির। সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ের এক অভিজ্ঞতার আলোকে এগ্রিলাইফকে বলেন, “খামারের মাছের আচরণ, খাদ্য গ্রহণ এবং পরিবেশগত প্রতিক্রিয়াগুলো সরাসরি পর্যবেক্ষণ ছাড়া কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। ব্যবহারে চেরিশ ফিশ ফিড সাফল্য নিশ্চিত এই মূলমন্ত্রে আমরা কাজ করছি মাঠ পর্যায়ে।”
তিনি আরও বলেন, “একজন প্রোফেশনাল কর্মকর্তা হিসেবে শুধু কাগুজে পরিকল্পনায় সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। মাছের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে খামারের বাস্তব অবস্থা বোঝা গেলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।”
সাইফি নাসির তাঁর ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মাঠপর্যায়ে নিবিড় যোগাযোগ এবং খামারিদের পাশে থাকার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। তিনি বলেন,“মাছ চাষাবাদ শুধু কর্পোরেট রিপোর্ট বা সেলস টার্গেট দিয়ে নির্ধারণ করা উচিত নয়, বরং এটি খামার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি জীবন্ত বাস্তবতা। তাই কর্পোরেট ডেস্ক থেকে খামার পর্যন্ত আমাদের সীমারেখা স্পষ্ট হওয়া দরকার।”
চেরিশ ফিশ ফিডের কার্যকারিতা সম্পর্কে তিনি জানান, খাদ্য গ্রহণের হার, পানি দূষণ রোধ এবং দ্রুত গ্রোথ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চেরিশ ফিড ইতোমধ্যে খামারিদের আস্থা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, “আমরা শুধুমাত্র ফিড বিক্রি করি না, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ কারিগরী সাপোর্ট সিস্টেম দিয়ে খামারিকে পাশে রাখি। যাতে যে কোনো সমস্যা দ্রুত শনাক্ত ও সমাধান করা যায়।”
মৎস্যখাতের উন্নয়নে এমন পেশাদারিত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিঃসন্দেহে দেশীয় মাছচাষের উৎপাদনশীলতা ও স্থায়িত্ব বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।