মো: এমদাদুল হক: আজ মঙ্গলবার ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কেন্দ্র শ্যামপুর, রাজশাহীর এর আয়োজনে রাজশাহীর আঞ্চলিক গম ও ভুট্টা গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে দিনব্যাপী গবেষণা পর্যালোচনা (২০২৪-২০২৫5) ও ভবিষৎ গবেষণা কর্মসূচী প্রণয়ন (২০২৫-২০২৬) শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট পঞ্চগড়, দেবিগঞ্জ বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো.ইলিয়াছ হোসেন।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহীর আঞ্চলিক কেন্দ্র এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. জাহেরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ ও রাজশাহী অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আজিজুর রহমান, রাজশাহী ফলগবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. শফিকুল ইসলাম।
কর্মশালায় গম চাষের বর্তমান পরিস্থিতি ও চাষাবাদ সম্পর্কে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকার্তা ড. মো. জাহেরুল ইসলাম। তিনি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় গম ও ভুট্টার নতুন জাত উদ্ভাবন, রোগ ও পোকা নিয়ে আলোচনা করেন এবং গম ও ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধি করে স্বয়ংসম্পন্ন হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের মধ্যে বেশি গম উৎপাদন হয় চাঁপাইনব্বাগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, নিদনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলায় । গম উৎপাদনের প্রতিকূলতা প্রয়োজনীয়ত ও গম উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে গুরত্ব আরোপ করেন ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মানুষের নিরাপদ খাদ্য চাহিদা নিশ্চিতকরণের ওপর আমরা জোর দিচ্ছি। এজন্য টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব একটি কৃষি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। গম ও ভুট্টা পানি সাশ্রয়ী দানা ফসল এজন্য বাংলাদেশের গম ও ভুট্টা দানা ফসল চাষাবাদ বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ প্রয়োজন । ব্লাস্ট গমের একটি মারাত্বক রোগ; ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাত হিসেবে ‘বারি গম-৩৩’ নামে জাতটি মাঠ পর্যায়ে বেশ ভাল। এই জাত ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে সক্ষম এর জীবনকাল ১০৮-১১৪ দিন। উপযুক্ত পরিবেশে হেক্টরপ্রতি ফলন চার থেকে পাঁচ মেট্রিক টন। জাতটি ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বপনের উপযুক্ত সময়। তবে মধ্যম মাত্রার তাপ সহনশীল হওয়ায় এটি ৫ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বপন করলে অন্য জাতের তুলনায় বেশি ফলন পাওয়া যায়।
কর্মশালায় গবেষণা পর্যালোচনা ও ভবিষৎ গবেষণা কর্মসূচী প্রনয়ন নিয়ে ও সমসাময়িক বিষয় এবং গমচাষের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, গম ও ভুট্টা আবাদের জন্য আগামী মৌসুমে বীজ সার প্রযোজনীয় তথ্য কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা গেলে গম উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রায় পৌছান সম্ভব । এছাড়াও গম চাষের জন্য লাইন করে বপন করতে হবে। কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দেন।