সর্বজনিন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভূক্তি বাতিলের দাবিতে সিকৃবিতে মানববন্ধন

Category: কৃষিবিদ ও ক্যাম্পাস Written by Shafiul Azam

ক্যাম্পাস ডেস্ক: অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

আজ ২৬ মে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ আল মামুনের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূইয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. সাদ উদ্দিন মাহফুজ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. এম এম মাহবুব আলম।

শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুব ইকবাল, সহকারী প্রফেসর মো. শেখ ফরিদ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন শিক্ষকরা আশংকা করছেন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ফলে ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করা শিক্ষকরা বিদ্যমান এককালীন পেনশন সুবিধা পাবেন না। নতুন সংযোজিত স্কিমে ১ জুলাই ও তৎপরবর্তীকালে যোগদান করা শিক্ষকগণ ও এর আগে যোগদান করাদের মাঝে দুইটি শ্রেণির সৃষ্টি হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এই বিভাজন শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশংকা করছেন ।

পৃথিবীতে সবচেয়ে কম বেতন বাংলাদেশের শিক্ষকদের উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তির পরিবেশ বিনষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ বাধাগ্রস্থ করতে পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা কাজ করছে ।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. ছফি উল্লাহ ভূইয়া বলেন, জাতিকে সুপরিকল্পিত ভাবে মেধা শুন্য করার পায়তারা চলছে । এ প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার হবে। মেধাবীরা শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাবে। বক্তারা বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।