বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদ, নতুন শিক্ষাবর্ষে ২০ বিদেশী শিক্ষার্থী

Category: কৃষিবিদ ও ক্যাম্পাস Written by Shafiul Azam

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত প্রায় দুইশ জন শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর প্রায় একশ আশি জন শিক্ষার্থীসহ বিশ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে বলে জানা যায়। আজ রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় কৃষি অনুষদীয় সম্মেলন কক্ষে নবীনবরণ আয়োজন করেছে ভেটেরিনারি অনুষদ।

সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোমেনা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের পরিচয় পর্ব শেষে ভেটেরিনারি অনুষদের ভবন, পাঠদান পদ্ধতি ও সকল বিভাগ নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তোফাজ্জল হোসেন।

ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বলেন, 'আজকে থেকে তোমরা বন্ধু হয়ে গেলে। আমরন এই বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন কেউ কাউকে হেয় করবে না, কাউকে সরিয়ে দিব না, একজন আরেকজনকে সাহায্য করবে। প্রথম থেকেই প্রায়োরিটি সেট করতে হবে। পড়ালেখার পরিকল্পনা করতে হবে, কিভাবে পড়ব, কোন কোর্সে কোন রেসাল্ট চাই, অতিমাত্রায় মোবাইল ফোন নির্ভর না হয়ে খাতায় লিখার অভ্যাস করতে হবে। ভালো একাডেমিক অভ্যাস ডেভেলপ করতে হবে। পড়ালেখার পাশাপাশি এক্সট্রা-কারিকুলার কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে। আনন্দের সাথে পড়ালেখা করতে হবে।'

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, 'প্রত্যেক শিক্ষকের কাছে অনেক ভালো ভালো বইয়ের কালেকশন আছে। আমাদের সময় ফটোকপি মেশিন তখন ছিল না। সবাই তখন লাইব্রেরীতে পড়াশোনা করতো। লাইব্রেরী হচ্ছে সব থেকে ভালো জায়গা পড়াশোনা করার জন্য। সামনের দিনে আমরা এমনও চিন্তা করতেছি যেখানে ফোন আলাদা একটা জায়গায় রেখে পড়াশোনা করতে হবে।'

তিনি আরো বলেন, 'তোমাদের শিক্ষকরা অন্য দেশে সুযোগ না নিয়ে তোমাদের জন্য, দেশের জন্য কাজ করার জন্য আবার বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। তোমরাও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য অবদান রাখবে, দেশকে ভালবাসবে। কোন রাজনৈতিক দল যদি তোমাকে মোটিভেট করে নিতে পারে তবে যাও কিন্তু যদি ভয় দেখিয়ে রাগ দিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তবে তার প্রতিবাদ করবে। একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে।'

অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে নবীন শিক্ষার্থী সোহান বলেন, 'আমাদের শিক্ষকরা বিশ্বমানের। আমরাও তাদের মতো হতে চাই। আশা করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা আমাদের শিক্ষককে পাশে পাবো।'