বাকৃবি প্রতিনিধি:বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, শিল্পবোধ ও সংস্কৃতি চর্চার এক উন্মুক্ত মঞ্চ তৈরির লক্ষ্যে আয়োজন করা হচ্ছে এক অনন্য প্রদর্শনী "মুহূর্তের মায়াজাল"। ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা এবং কারুশিল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নান্দনিক রূপ ও শিক্ষার্থীদের প্রতিভা তুলে ধরবে এই আয়োজন।
প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাকৃবির সৃজনশীল সংগঠন Aesthetic BAU বা "অ্যাস্থেটিক বাউ"। আগামী ২৩ মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা চত্বরে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আল জুবায়ের ইমন জানান, এ প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারবেন বাকৃবির যেকোনো শিক্ষার্থী। মুঠোফোনে তোলা বাকৃবি কেন্দ্রিক ছবি, নিজ হাতে আঁকা চিত্র এবং তৈরি করা কারুশিল্প—এই দুইটি বিভাগে প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিভাগ থেকে নির্বাচিত সেরা তিনজনকে পুরস্কৃত করা হবে। পাশাপাশি নির্বাচিত সকল অংশগ্রহণকারীকে দেওয়া হবে সার্টিফিকেট। আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।
ছবি জমা দিতে হলে অবশ্যই তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর তোলা ও নিজের তোলা হতে হবে। ছবি যেন দেখলেই বোঝা যায়, সেটি বাকৃবির কোনো দৃশ্য। ছবি অতিরিক্ত এডিট করা, এআই ব্যবহৃত কিংবা ম্যানুপুলেটেড হলে তা বাতিল হবে। মূল ফাইল ছবিয়ালের কাছে সংরক্ষিত থাকতে হবে। একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ দুটি ছবি .jpg ফরম্যাটে, নিজের নাম ও মোবাইল নম্বরসহ This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it. ঠিকানায় ২০ মে'র মধ্যে পাঠাতে পারবেন। ছবি সাবমিশন ফ্রি হলেও নির্বাচিত ছবির জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০ টাকা। নির্বাচিত ছবি প্রিমিয়াম প্রিন্ট করে প্রদর্শিত হবে এবং ছবিয়াল পাবেন সার্টিফিকেট ও প্রিন্ট কপি।
ক্রাফ্ট এক্সিবিশনের জন্য জমা দিতে হবে নিজ হাতে আঁকা ফ্রেমসহ চিত্র। ফ্রেম ছাড়া দিলে কর্তৃপক্ষ কোনো ক্ষতির দায় নেবে না। প্রতিটি ছবির সঙ্গে থাকবে শিল্পীর নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। জমা নেওয়া হবে ২০ থেকে ২২ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ২০ নম্বর রুমে। প্রতিটি ছবির জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ২১ টাকা। প্রদর্শনী শেষে ছবিগুলো ফেরত দেওয়া হবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রিফাত আলী বলেন, "এই আয়োজন আমাদের সদস্যদের কল্পনা ও চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। একটি জ্ঞানভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্প ও সংস্কৃতির এমন সম্মিলন মানসিক বিকাশে বড় ভূমিকা রাখে। আমরা বিশ্বাস করি—এই প্রদর্শনী প্রতিটি দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করবে।"