সাইফুর হাসান:প্রবাসে থেকেও যদি জন্মভূমি বাংলাদেশের সুবাস মেলে, তবে সেই আনন্দ এক দিন বা ইভেন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না রয়ে যায় হৃদয়ের গভীর থেকে গভীরে । উত্তর এডমন্টনের রাউণ্ডেল পার্কের সবুজ চত্বরে সাফল্যের যাত্রা( Journey to Success) গত ১৬ অগাস্ট অনুষ্ঠিত হলো এক প্রাণময় আয়োজনের মাধ্যমে । শতাধিক পরিবারের প্রায় ৩শত নারী, পুরুষের অংশ গ্রহণ ও পদচারণায় মুখরিত হয় পার্কের ৩ নং স্টল এলাকা, অনুষ্ঠিত হয় একটি চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা ও নানান অনুষ্ঠানমালা।
অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হক শামীম । বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ ও ড. রাফাত আলম, ড. নাজমা আক্তার সহ আরো অনেকে। কানাডায় , বৈচিত্র্য, ইক্যুইটি হল এর সাংগঠনিক রচনা যা ন্যায্য আচরণ এবং সমস্ত লোকের অংশগ্রহণকে উন্নীত করতে চায়, বিশেষ করে সদস্য যারা এর অন্তর্ভুক্ত ও ঐতিহাসিকভাবে বা অক্ষমতা বৈষম্যের শিকার হয়েছে। অনুষ্ঠানে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় এডমন্টন স্থানীয় কাউন্সিলর নির্বাচনে দুইজন মুসলিম কাউন্সিলর প্রার্থীকে। ডাইভার্স এডমিণ্টনের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক মুক্তিজুদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ শিশুকিশোরদের অঙ্কন প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন ও উৎসাহ দেন।
অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করেন ডিউক হাসান, রিয়েলেটর, প্রাইম ফিজিও - শরিফুল ইসলাম, ইকরা এবং বিডি মার্ট গ্রোসারি -দিন ইসলাম ও জে২এস সভাপতি আবুল হক শামীম। পরিচয় পর্বে নেতা: শেখ বাসাম পারেজ, কাউন্সিলর প্রার্থী- অধ্যাপক ড. ফারহান মুজাহিদ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে রবিবার স্কুলের নাম ঘোষণা ও কর্মসূচির উপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প চিন্তক ডাক্তার নাজমা আক্তার।
১ সানন্ডে ইসকুল
২. বার্ষিক সম্মেলন
৩. প্রাপ্তবয়স্ক, যুবক এবং শিশুদের জন্য মাসিক হালাকা
৪. ক্যাম্পিং
৫. পারিবারিক রিট্রিট
৬. হাইকিং
৭. ফুটবল
৮. ব্যাডমিন্টন
৯. পিকনিক
১০. শারীরিক সুস্থতা
১১. সম্প্রদায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
১২. দানশীলতা - তহবিল সংগ্রহ
১৩. বার্ষিক পুরস্কার প্রদান গালা নাইট
পিকনিকের আকর্ষণ ছিল:
১. শিশু শিল্পী/অঙ্কন ২. ঝালমুড়ি চানাচুর ৩. স্পেশাল মালাই চা ৪. ফান গেমস ৫. গান ৬. সারপ্রাইজ- ১০ টি
সুধী, অভিবাবক ও সকল শ্রেণী-পেশার মানুষদের উপস্থিতি ও অংশ গ্রহণ সহ এবং আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভরপুর ছিল অনুষ্ঠানস্থল। সকলে আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এমন একটি পরিছন্ন মানসিকতা ও গঠনমূলক অনুষ্ঠান উপহার দেয়ার জন্য।
অনুষ্ঠানের মধ্যবর্তী সময়ে জামাতে যোহরের নামাজ আদায় করা হয়। এতে ইমামতি করেন শেখ বাসাম পারেজ।