মাঠ পর্যায়ে ব্রোকলির ফলন প্রায় দ্বিগুণ করতে কাজ করে যাচ্ছে শেকৃবি'র উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ

Category: গবেষণা ফিচার Written by Shafiul Azam

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: মাঠ পর্যায়ে ব্রোকলির ফলন প্রায় দ্বিগুণ করতে কাজ করে যাচ্ছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ থেকে প্রফেসর ড জসিম উদ্দিন। তিনি বিগত কয়েক বছর যাবত একটি রিসার্চ টিম তৈরি করে চাষাবাদ ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন এর মাধ্যমে কিভাবে ব্রোকলির ফলন বৃদ্ধি করা যায় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। পরপর তিন বছর যাবত তিনি তাঁর এম এস এর ছাত্র ছাত্রীদের দিয়ে এই গবেষণা করে সুফল পেয়েছেন যার মাধ্যমে ব্রোকলির ফলন প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

গবেষণা দলের প্রধান প্রফেসর ড জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত ব্রোকলির একটি গাছ থেকে একটি প্রধান কার্ড বা ফুল পেয়ে থাকে। ব্রোকলির পুষ্টিগুণ ফুলকপির চেয়ে বেশি হবার কারণে প্রতিনিয়ত ব্রোকলির চাহিদা আমাদের দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে লক্ষে তাদের রিসার্চ টিম গত তিন বছর ধরে গাছের বৃদ্ধি পর্যায়ে কিছু গাছের পিনচিং করে দিয়ে আসছিলেন। পিনচিংকৃত গাছগুলো থেকে একাধিক শাঁখা হচ্ছিল যার তিনটি সবল শাখা তারা রেখে দিয়েছিলেন। পর্যবেক্ষণে তারা দেখতে পেয়েছেন প্রতিটি গাছের শাখায় ১ টি করে মোট ৩ টি ব্রোকলি পেয়েছেন। অন্যদিকে যে গাছগুলোতে পিনচিং করা হয়নি সেই গাছ থেকে একটি ব্রোকলি পান তারা যার গড় ওজন ৩৫০-৪০০ গ্রাম। আর পিনচিং করা গাছ থেকে ৩ টি ব্রোকলি সংগ্রহ করতে পেরেছেন যার গড় ওজন ২৫০-৩০০ গ্রাম এবং একটি ব্রোকলি গাছ হতে সংগৃহীত মোট ওজন প্রায় ৭৫০-৮০০ গ্রাম যা ফলনের দিক থেকে প্রায় দ্বিগুন।

ড জসিম উদ্দিন বলেন, পিনচিংকৃত প্রতিটি গাছ থেকে ৩ টি করে ব্রোকলি পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আশা করছেন কৃষকদের মাঝে এই পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে পারলে ব্রোকলির ফলন প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। আর একটি বিষয় লক্ষণীয় যে বড় আকারের ব্রোকলির চাহিদা বাজারে কম থাকে সেইদিক বিবেচনা করেও পিনচিংকৃত ব্রোকলির চাহিদা বাজারে বেশি হবে।