সমীরণ বিশ্বাস: বর্তমান বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিণতিতে শহরগুলো এক ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত সংকটের মুখোমুখি। বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৫৮% মানুষ শহরে বাস করে, এই হার ২০৫০ সালের মধ্যে ৭০%-এ উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ এই শহরগুলোই ব্যবহার করে বৈশ্বিক শক্তির ৭৫% এবং উৎপন্ন করে কার্বন নিঃসরণের ৭০% এরও বেশি।
অধ্যাপক ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন
ভূমিকা:
বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে একটি গৌরবজনক অবস্থান অর্জন করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের মোট মাছ উৎপাদন ছিল ৪৯.১৫ লাখ মেট্রিক টন, যা বিশ্বে ৫ম বৃহত্তম মাছ চাষ, ৪র্থ বৃহত্তম তেলাপিয়া উৎপাদনকারী এবং ১ম ইলিশ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে স্বীকৃতির যোগ্যতা অর্জন করেছে। তবে এই সফলতার পেছনে রয়েছে একটি অদৃশ্য পরিবেশগত খরচ - গ্রিনহাউস গ্যাস (জিএইচজি) নির্গমন।
বাকৃবি প্রতিনিধি-টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের সেরা বৈজ্ঞানিক জার্নালের স্বীকৃতি অর্জন করেছে 'জার্নাল অব অ্যাডভান্সড ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল রিসার্চ' (জাভার)। ওয়েব অব সায়েন্সের তথ্যানুসারে, এটি বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরপ্রাপ্ত জার্নাল। একইসঙ্গে, স্কোপাসের মূল্যায়নে বাংলাদেশের একমাত্র কিউ২ ক্যাটাগরির জার্নাল হিসেবে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।
সমীরণ বিশ্বাস:বর্তমানে কৃষিতে ফলন বৃদ্ধি, আগাছা নিয়ন্ত্রণ ও রোগ-পোকা দমনের জন্য মালচিং পদ্ধতির ব্যবহার ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে উদ্বেগজনকভাবে কৃষকরা অধিকহারে অজৈব পলি বা প্লাস্টিক মালচিং, বিশেষ করে পলি বা পলিথিনজাত মালচিং ব্যবহার করছেন। কারণ হিসেবে এর তুলনামূলকভাবে কম মূল্য, সহজলভ্যতা ও তাৎক্ষণিক ফলনের উন্নতি অন্যতম। কিন্তু এই সুবিধার আড়ালে লুকিয়ে আছে মারাত্মক পরিবেশ ও কৃষি হুমকি।
মো. রেজুয়ান খান: বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ফল উৎপাদনের জন্য এক অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে উঠেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উঁচু পাহাড়, টিলা এবং সমতল জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফল জন্মায়। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে এই এলাকার সমতল ও উঁচু স্থানে আম, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা এবং আনারসের ফলন হয়। সারাবছর মৌসুমি ফল উৎপাদনে পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই অঞ্চলের স্থানীয় বাজারগুলো এখন মৌসুমি ফল বিক্রয়ের জন্য উপযোগী হয়ে উঠেছে।
বাকৃবি প্রতিনিধি-ব্রুসেলোসিস একটি ভয়াবহ ব্যাধি যা গৃহপালিত পশু, বন্যপ্রাণী এবং সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীদের আক্রান্ত করে থাকে। এটি জুনোটিক রোগ হওয়ায় পশু থেকে সহজেই মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় এবং গবাদি পশুতে দুধ উৎপাদন হ্রাস, গর্ভপাত এবং উৎপাদনক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে খামারিরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।