দেশের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা বেগুনি ফুলকপি

Category: গবেষণা ফিচার Written by Shafiul Azam

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বেগুনি ফুলকপির পুষ্টিগুণ, ফলন ও চাষাবাদ নিয়ে গবেষণায় সাফল্য দেখিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ।

তিনি জানান, আমেরিকা থেকে বেগুনি ফুলকপির জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করে দেশের মাটি ও আবহাওয়ায় পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়েছে এবং তা সফল হয়েছে। তবে এর বীজ উৎপাদন নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

চাষাবাদ ও ফলন
অধ্যাপক হারুন বলেন, জৈব মালচিং পদ্ধতিতে বেগুনি ফুলকপির চাষ করা হয়েছে, যেখানে পোকামাকড়ের আক্রমণ কমাতে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা হয়। এতে রাসায়নিক ব্যবহার ছাড়াই বেগুনি ফুলকপি উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রতি হেক্টরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার গাছ রোপণ করা হয়েছে, যার ফলন দাঁড়িয়েছে ২০ টনের বেশি, যা সাধারণ সাদা ফুলকপির ফলনের সমান।

পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
বেগুনি ফুলকপির রঙের জন্য এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

এছাড়া, ফুলকপির পাতায় সাধারণ সবজির তুলনায় ২-৩ গুণ বেশি ফাইবার থাকে, যা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। প্রতি সপ্তাহে এক কেজি ফুলকপির পাতা খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক কমতে পারে বলে জানান গবেষক।

অধ্যাপক হারুন বলেন, বেগুনি ফুলকপির পাতায় থাকা ক্যালসিয়ামের পরিমাণ গরুর দুধের ক্যালসিয়ামের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি। এটি হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়ক এবং শিশু ও বৃদ্ধদের দাঁতের সমস্যা কমাতে পারে।

তিনি আরও জানান, সাধারণ ফুলকপির তুলনায় বেগুনি ফুলকপি নরম ও সুস্বাদু। এ ফুলকপির পাতা শাক হিসেবে খাওয়া সম্ভব এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।