
এস এম মুকুল: গল্পটা শুরু করা যায় জাপান ও বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি নিয়ে। জাপান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কৃষিপণ্য আমদানিকারক দেশ। জাপানের মোট ভ‚মির মাত্র ২০ শতাংশ কৃষিকাজের উপযোগী। এ স্বল্প পরিমাণ জমিকে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে ফসল উৎপাদনের সর্বোচ্চ উপযোগিতা অর্জন করে।
জাপানের সাথে বাংলাদেশের অনেক বিষয়ে মিল আছে। জাপানিরা ভাত-মাছ খায়। জাপানে মোট জন সংখ্যার শতকরা ৪ ভাগ ও আমাদের ৪০ ভাগ কৃষি কাজের সাথে জড়িত। জাপানের জিডিপিতে কৃষির অবদান শতকরা ২ ভাগ এবং আমাদের অবদান শতকরা ১৩ দশমিক ৬৫ ভাগ। বাংলাদেশে মোট জমির ৫৮ শতাংশ এবং জাপানে মোট জমির ১৩ শতাংশ চাষযোগ্য। দেশটির আবহাওয়া কৃষি উপযোগী। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয় এবং মাটিও উর্বর। অনুক‚ল আবহাওয়া, জমির উৎপাদক শক্তি এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প জমি থেকে অধিক উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে জাপান। কৃষিতে বাংলাদেশের ও সফলতাও কম নয়; স্বাধীনতার ৪৯ বছরে বাংলাদেশে কৃষিতে ঘটেছে এক নীরব বিপ্লব। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিশ্বে ফসলের জাত উদ্ভাবনে প্রথম, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, চাল উৎপাদনে চতুর্থ, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু উৎপাদনে অষ্টম এবং খাদ্যশস্য উৎপাদনে দশম। এ সফলতার পেছনে রয়েছে বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি, কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ।
বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি ও হাওরবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে সেই জাপান থেকে ছুটে এসেছেন একজন কৃষি উন্নয়ন গবেষক। যিনি ৩৮ বছর ধরে কাজ করছেন বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে। যার কথা বলছি তিনি জাপানী উন্নয়ন গবেষক টেটসুও সুটসুই । তখন সবে ২৩ বছরের যুবক টেটসুও সুটসুই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষ করেছেন। কর্মজীবনে যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জীবনের আনন্দ অনুসন্ধানে এবং জিবিকার প্রয়োজনকে তিনি একসুতোয় গেঁথে নিলেন মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হওয়ার প্রত্যয়ে। মনস্ত করলেন বেছে নিবেন জাপানের বাইরের কোনো দেশ। যে দেশের মানুষ এখনো মাঝে মাঝে অনাহারে থাকে কিংবা সুচিকিৎসার অভাবে কাতরাতে থাকে। অনেক খোঁজ খবর নিয়ে তিনি চলে আসলেন বাংলাদেশে। সময়টা ১৯৮৫ সাল। সুযোগ এসে যায় জাইকা’র ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার। ১৯৮৬ সালে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণে জুনিয়র এক্সপার্ট হিসেবে জাইকা’র একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কুমিল্লা ‘বার্ড’-এ। এক নাগারে চার বছর দিন রাত শুধু কাজ আর কাজ করলেন। তাঁর প্রাণ্ন্তাকর প্রচেষ্টায় কুমিল্লার আশ-পাশ জেলা ও উপজেলায় প্রচুর মৎসচাষ শুরু হলো। কমিউনিটি পর্যায়ে এই মৎস্যচাষ তখন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষে ১৯৮৯ সালে তিনি ফিরে যান জাপানে। জাপানে ফিরে গেলেও মন পড়ে রয় বাংলাদেশে। কারণ বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের ভালবাসা তাঁর হৃদয় জয় করেছে। এখানকার মানুষের দু:খ-কষ্ট ও জীবন সংগ্রাম তাঁকে খুব আকৃষ্ট করে। তিনি আবার বাংলাদেশে আসার পথ খুঁজতে থাকেন।
ঠিক চার বছর পর ১৯৯৪ সালে আবার পেয়ে যান আর একটি পথ। শাপলা নীড় নামে একটি জাপানী আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার ফান্ড রাইজিং কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। দুই বছর এই পদে তাঁর কাজের ফলে বাংলাদেশে শাপলা নীড় এর কার্যক্রম বেশ সম্প্রসারণ হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে শাপলা নীড় এর টোকিও সচিবালয়ের ফেয়ার ট্রেড ডিভিশনের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৮ সালে শাপলা নীড়ের আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে আবার ফিরে আসে বাংলাদেশে। তিনি যোগদান করেই শুরু করেন শাপলা নীড়কে আরো বেশী সংখ্যক মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজে লাগানোর। তিনি পর্যায়ক্রমে শাপলা নীড় এর কার্যালয় ও কার্যক্রম নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ইত্যাদি জেলায় সম্প্রসারণ করতে থাকেন।
তাঁর মূল নীতি হলো মানুষকে আত্ম-নির্ভরশীলতার দিকে নিয়ে যাওয়া। সব সময় সাহায্যের দিকে না তাকিয়ে নিজস্ব সম্পদের ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত করা। অথচ তখন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সাহায্য ব্যাপকভাবে আসছে। তিনি তখন ঠিক উল্টো পথে। তিনি বিশ্বাস করতেন এই প্রচুর সাহায্য প্রাপ্তি বাংলাদেশী মানুষকে পরনির্ভরশীল করে তুলবে। তাঁর আদর্শ ও বিশ্বাস নিয়ে তিনি দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলতে চলতে ২০০২ সালে একই প্রতিষ্ঠানের উপ-মহাসচিব হিসেবে পদোন্নতি নিয়ে তিনি আবার জাপান গমন করেন। শারিরীকভাবে তিনি জাপানে গেলেও মন পড়ে থাকতো বাংলাদেশে।
২০০৮ সালে উক্ত সংস্থার মহাসচিব হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন। একই বছর শাপলা নীড় থেকে অবসরপ্রাপ্ত হয়ে তিনি আবার গঠন করেন ‘শেয়ার দ্যা প্লানেট এসোসিয়েশন’ নামে আরো একটি উন্নয়ন সহায়তা সংস্থা। হবিগঞ্জের হাওর এলাকায় জাইকার সহায়তায় তার প্রতিষ্ঠান শেয়ার দ্য প্ল্যানেট এসোসিয়েশন স্থানীয় এনজিও এসেড এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে একটি প্রকল্প। এবার তেৎসুও সুৎসুই এগিয়ে এসেছেন হাওর এলাকায় গবেষনার কাজে। তার সহায়তায় হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বাঘজোর গ্রামে নির্মাণ হচ্ছে ‘সুৎসুই সান হাওর রিসার্চ এন্ড রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’। জাপানী ভাষায় প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘ মিরানি নো দিইচি’। তেৎসুও সুৎসুই এর নামেই হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান। এ থেকে প্রমাণ হয় তিনি বাংলাদেশকে এবং হাওরাঞ্চলকে কতটা ভালবাসেন।
প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন- ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক কারণে হাওর অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মোট আয়তনের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ হাওর অঞ্চল। অঞ্চলটি সাতটি জেলার ৫৩ উপজেলাকে যুক্ত করেছে। হাওর কেবল প্রাকৃতিকভাবে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত এলাকা নয়, বরং খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাণিসম্পদ ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এ ছাড়া দেশের মোট গবাদি পশুর প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ এ অঞ্চলে পালন করা হয়। এখানকার প্রাকৃতিক চারণভ‚মি (বাথান) ও পানির সহজলভ্যতা গবাদি পশুর প্রজনন বৃদ্ধিতে সহায়ক। গবাদি পশু দুধ, মাংস, চামড়া ও সার উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
দেশের মোট হাঁসের প্রায় ২২ শতাংশ এ অঞ্চল সরবরাহ করে। কৃষিক্ষেত্রেও হাওরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশের মোট বোরো ধানের ৬০ শতাংশ হাওর থেকে আসে। পাশাপাশি নদী, খাল, বিল এবং জলাশয় মৎস্য উৎপাদনের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কৃষিজমিতে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর জন্য প্রাণঘাতী পরিবেশ তৈরি করে। ফলে শৈবাল বৃদ্ধির কারণে পানির নিচে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়, যা মাছসহ জলজ জীবনের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়। হাওরের মাটি অত্যন্ত উর্বর, যা ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী করতে পারি। হাওর অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক মানুষ কৃষি, মৎস্য ও গবাদি পশু লালন-পালনে সরাসরি জড়িত। তাদের মাধ্যমে আমরা খাদ্য নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে পারি। খাল, বিল ও নদীর সুরক্ষা করে মাছ উৎপাদন আরও বাড়ানো যেতে পারে। হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে ঘাস ও চারণভূমি, যা গবাদি পশু পালনে খরচ কমিয়ে আনে।
যাহোক বালাদেশ প্রেমি জাপানি গবেষক তেৎসুও সুৎসুই আরো বৃহৎ পরিসর নিয়ে বাংলাদেশের দু’টি অঞ্চলকে টার্গেট করে উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেন। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চলকে নিয়ে জলাবায়ু পরিবর্তন ও দূর্যোগ সহনশীল কৃষি প্রযুক্তির প্রসার ও চাষাবাদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে তিনি ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেন। তাঁর সকল কার্যক্রম স্থানীয় পর্যায়ের এনজিওদের সম্পৃক্ত করে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন চলতে থাকে। তিনি বাংলাদেশে ‘সিসিএএএন’ নামে একটি নেটওয়ার্কও তৈরী করেন। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টটিউট (বারি), আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি), হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, টয়োটা ফাউন্ডেশন, জাপানী কৃষি ও জলবায়ু উন্নয়ন বিষয়ক কয়েকটি সরকারী সংস্থা এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষি নিয়ে কাজ করে এমন ১৪টি এনজিও-কে এক সুতার গেঁথে উন্নয়ন কৌশল, তথ্য ও সম্পদ ভাগাভাগির মাধ্যমে সীমিত সম্পদকে অধিকতর মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমানে যেখানে বৈশ্বিক আর্থিক সংকটে নিপতিত উন্নত দেশসমূহ তাদের উন্নয়ন সহায়তা আমাদের দেশ থেকে কমিয়ে দিচ্ছে সেখানে নিবেদিতপ্রাণ এই মানুষটি বিভিন্ন সহায়তার উৎস তালাশ করে সেখান থেকে সম্পদ সংগ্রহ করে বাংলাদেশে অন্ত:ত ১৪টি উন্নয়ন উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছেন। এই উদ্যোগগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে সহায়তার প্রায় ৮০% সম্পদ বিশেষ কৌশলসহ সরাসরি
সুবিধাভোগীর হাতে পৌঁছে যায়। যার ব্যবহারের ফলে ৪-৫ বছরের মধ্যে সুবিধাভোগীরা আত্ম নির্ভরশীলতার পথে অগ্রসর হয়। উন্নয়ন সহায়তার পাশাপাশি এই মানুষটি খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে জাপানের কায়েটসু ইউনিভার্সিটি, এশিয়া ইউনিভার্সিটি, টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও উটসুনোমিয়া ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। বর্হিবিশ্বে মানবতার কল্যাণে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি জাপানের আশাহি সোস্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যাওয়ার্ড, ওকিনাওয়া পিস প্রাইজ, হিরোসিমা পিস প্রাইজ, এ্যাক্সেলেন্ট এনপিও এ্যাওয়ার্ড ও জাপান র্পার্টনারশীপ প্রাইজ উইনার এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। অথচ বর্হিবিশ্বের মধ্যে কাজের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশই তার বাংলাদেশের মানুষের জন্য নিবেদিত। প্রশ্ন হচ্ছে এই নিবেদিত প্রাণ পরদেশি মানুষটিকে বাংলাদেশ কিভাবে মূল্যায়ন করবে- সেই ভাবনা কি সরকারের কৃষি বিভাগের আছে?
সবশেষে বলবো, জাপানে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অল্প সময়ে কৃষক একাই অনেক বেশি পরিমাণ জমি চাষাবাদ করতে পারেন। জমি চাষ, চারা তৈরি, চারা রোপণ, ফসল কাটা, মাড়াই এবং বাজারজাতকরণের উপযোগী করা সব কিছুই কৃষক যন্ত্রের সাহায্যে করতে পারেন। এটাই হলো আধুনিক জাপানি কৃষির বৈশিষ্ট্য। জাপানে হেক্টর প্রতি চালের উৎপাদনও আমাদের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। আমাদের দেশে হেক্টর প্রতি চালের গড় উৎপাদন ২ দশমিক ২০ টন, জাপানে হেক্টর প্রতি চালের উৎপাদন ৬ দশমিক ৫৪ টন। এ ছাড়া জাপানে ভার্টিক্যাল ফার্মিং পদ্ধতিও ইদানিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ পদ্ধতিতে গ্রিনহাউজে একের পর এক তাকে ফসল ফলানো হয়। কিয়াটো ও টোকিও অঞ্চলে এ ধরনের চাষ পদ্ধতির দেখা যায় বেশি। কৃষি ও কৃষি প্রযুক্তি উন্নয়নে বিনিয়োগের দুয়ার খুলে দিয়ে দেশটির কৃষিকে করে তোলা হয়েছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর, বাণিজ্যিক ও স্মার্ট। অন্যান্য শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতির কারণে জাপানের অর্থনীতিতে কৃষি এখন অত্যন্ত গৌণ খাত। তবে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশের জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয় একটি জায়গা হতে পারে জাপানের সম্ভাবনাময় আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি খাত। বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বাংলাদেশ প্রেমী কৃষি গবেষক তেৎসুও সুৎসুই-এর অনবদ্য ভুমিকার রাষ্ট্রীয় মূল্যায়নের দাবি রাখে।
লেখক : সাংবাদিক, অর্থনীতি বিশ্লেষক ও উন্নয়ন গবেষক