ইসলামিক ডেস্ক: মাহে রমজান সদ্য বিদায় নিয়েছে। কেউ কেউ এখনও স্বাক্ষী রোজা পালন করছেন, যার মাধ্যমে রমজানের ভাবগম্ভীরতা কিছুটা সময় ধরে মন ও সমাজে স্থায়ী হয়। রমজান আমাদের শেখায় সংযম, সহনশীলতা, ত্যাগ, পরোপকার ও আত্মশুদ্ধি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা এসব শিক্ষাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারি না। পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও অসহিষ্ণুতা, হিংসা ও বিভেদের চিত্র চোখে পড়ে।
প্রশ্ন জাগে, তাহলে রমজানের শিক্ষায় আমাদের লাভ কী? আমরা কি শুধুই রোজা রেখেছি, না কি এর মূল শিক্ষা – আত্মসংযম ও ধৈর্য – আত্মস্থ করেছি?
রমজানের শিক্ষা শুধু একমাসের জন্য নয়, সারা বছরজুড়ে তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আহ্বান জানায়। আমাদের মনে রাখা উচিত, অল্পতেই বেশি পাওয়ার মানসিকতা ত্যাগ করে, বেশি কিছু পেতে হলে প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য। সেইসঙ্গে প্রয়োজন মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বেশি বেশি নেক আমল করা।
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী। তিনি চাইলে আমাদের জীবন ও সমাজে পরিবর্তন আসতে পারে। আমাদের প্রয়োজন নিজেরা পরিবর্তিত হওয়া, সংযম ও ইসলামী মূল্যবোধকে আত্মস্থ করে আগামীর বাংলাদেশকে গড়ে তোলা।
আসুন, আমরা সবাই মিলে সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য আত্মশুদ্ধির এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখি। ইসলামের আদর্শে বলীয়ান হয়ে জীবন গঠন করি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। আমিন।