কোরবানির ত্যাগের শিক্ষা কতটুকু নিলাম আমরা?

Category: ইসলাম ও জীবন Written by Shafiul Azam

ইসলামিক ডেস্ক: কোরবানির ঈদ পার হয়ে গেছে প্রায় এক সপ্তাহ। ধীরে ধীরে কর্মব্যস্ত ঢাকা শহরে ফিরছেন গ্রামে ঈদ উদযাপন করতে যাওয়া লাখো মানুষ। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে ফিরে আসার পরেও এখনও রাজধানীর বহু বাসাবাড়িতে কোরবানির আমেজ রয়ে গেছে।

এখন কথা হলো আমরা এই কোরবানির প্রকৃত শিক্ষা কতটুকু গ্রহণ করেছি? কোরবানি কি কেবল আনন্দ-উৎসব আর গোশত ভাগাভাগির নাম, নাকি এর পেছনে রয়েছে এক গভীর আত্মত্যাগের বার্তা?

ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম এই বার্তাই দেয় কোরবানির ঈদ। কোরআন ও হাদীসে কোরবানির প্রকৃত তাৎপর্য নিয়ে বহুবার আলোচনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, “তোমাদের কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না; বরং পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া।” (সূরা হজ: ৩৭)

কোরবানি মানেই আত্মশুদ্ধি, নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে অন্যের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া। ঈদে আমরা পশু কোরবানি করি, কিন্তু তার মাধ্যমে মূলত আমাদের অহংকার, হিংসা, লোভ এই সব নফসের পশু কোরবানি করাই আসল উদ্দেশ্য।

এ দিক বিবেচনায়, কোরবানির এই শিক্ষা যদি আমাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারে, তাহলে সমাজে হিংসা-বিদ্বেষ, অসহিষ্ণুতা কমে আসবে। আমরা অন্যের সুখে সুখী হব, অন্যের দুঃখে কাঁদব এটাই তো ছিল ইব্রাহিম (আ.)-এর থেকে প্রাপ্ত আত্মত্যাগের প্রকৃত শিক্ষা।

তাই, আসুন আমরা কোরবানির উৎসবকে শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে নয়, বরং আত্মনিরীক্ষা ও মানবিক চেতনার উপলক্ষ হিসেবে গ্রহণ করি। মহান আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে এই শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করে জীবন পরিচালনার তৌফিক দেন—এই হোক আমাদের প্রার্থনা।