সূরা তাওবার কঠোর সতর্কবার্তা

Category: ইসলাম ও জীবন Written by Shafiul Azam

ইসলামিক ডেস্ক: বর্তমান সমাজে পাপাচার ও গুনাহ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে অশ্লীলতা, অন্যায়, দুর্নীতি, প্রতারণা, আল্লাহর বিধান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া যেন সাধারণ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় মানুষের উচিত দ্রুত তওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা। কারণ একমাত্র আল্লাহর দিকেই আমাদের মুক্তি, শান্তি ও সফলতা নিহিত।

আজকের সমাজেও আমরা দেখতে পাই পৃথিবীর নানা প্রান্তে রোগব্যাধি, দুর্যোগ, অর্থনৈতিক সঙ্কট ও অশান্তি লেগেই আছে। এগুলো কেবল কাকতালীয় নয়, বরং মানুষের গুনাহ, অবাধ্যতা ও আল্লাহর বিধান থেকে বিচ্যুতির ফল। এসব বিপর্যয়ের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদেরকে সতর্ক করেন যেন আমরা ভুল-ত্রুটি ও পাপাচার থেকে ফিরে এসে আন্তরিক তওবা করি।

আল্লাহ্‌ তাআলা কুরআনে আমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়েছেন। সূরা তাওবার ১২৬ নম্বর আয়াতে তিনি বলেন, “তারা কি দেখে না যে, প্রতি বছর একবার কিংবা দু’বার তাদেরকে বিভিন্ন বিপর্যয়, রোগ, দুর্ভিক্ষ, বিপদ-আপদ দিয়ে পরীক্ষায় ফেলা হয়? এরপরও তারা তওবা করে না এবং উপদেশ গ্রহণ করে না।”

এই আয়াত আমাদের জন্য গভীর শিক্ষা বহন করে। মানুষের জীবনে যে বিপদ-আপদ, রোগ-বালাই, দুর্যোগ ও সংকট আসে, তা কেবলই আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা। এসব বিপর্যয়ের মাধ্যমে বান্দাকে সতর্ক করা হয়, যাতে সে নিজের ভুল-ত্রুটি, পাপাচার ও গুনাহ থেকে ফিরে এসে মহান রবের দরবারে তওবা করে।

আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন: “তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রাসূল। তোমাদের কষ্ট তাঁর কাছে কঠিন মনে হয়, তিনি তোমাদের জন্য অত্যন্ত আগ্রহী, মুমিনদের প্রতি তিনি দয়ালু ও স্নেহশীল।” (সুরা আত-তাওবা: ১২৮)। এই আয়াত প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি কতটা দয়ালু ও স্নেহশীল। তিনি বান্দাদের কষ্ট চান না, বরং চান তারা সঠিক পথে ফিরে আসুক।

আসুন, আমরা সবাই আন্তরিকভাবে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাই, গুনাহ থেকে বিরত থাকি এবং তাঁর দয়ালু পথে চলি। নিশ্চয়ই তিনি মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল ও পরম দয়ালু। আমিন।