মহান রাব্বুল আলামিনের তাঁর সৃষ্টির প্রতিটি স্তরেই রয়েছে হিকমত ও কুদরতের প্রকাশ

Category: ইসলাম ও জীবন Written by Shafiul Azam

ইসলামিক ডেস্ক: পবিত্র কোরআনের সূরা ইয়াসিনের ৮০ থেকে ৮৩ নম্বর আয়াতে মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর অপরিসীম ক্ষমতা ও সৃষ্টিশীলতার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন সৃষ্টি করেন; সাধারণ দৃষ্টিতে যা শীতল ও সজীব, সেখান থেকেই তিনি উত্তাপ ও শক্তির উৎস সৃষ্টি করেছেন। এতে প্রমাণিত হয়, আল্লাহ তায়ালার জন্য অসম্ভব বলে কিছু নেই; তাঁর সৃষ্টির প্রতিটি স্তরেই রয়েছে হিকমত ও কুদরতের প্রকাশ।

আকাশসমূহ ও পৃথিবীর স্রষ্টা হিসেবে আল্লাহ তায়ালা প্রশ্ন রাখেন যিনি এত বিশাল সৃষ্টি করতে সক্ষম, তিনি কি মানুষের অনুরূপ সৃষ্টি করতে অক্ষম হতে পারেন? উত্তর নিজেই স্পষ্ট নিশ্চয়ই তিনি সর্বশক্তিমান, মহা স্রষ্টা ও সর্বজ্ঞ। সৃষ্টি করা, পুনরায় সৃষ্টি করা কিংবা ধ্বংসের পর জীবন দান করা সবই তাঁর জন্য সমান সহজ। কারণ তাঁর আদেশ মাত্রই যথেষ্ট; তিনি যখন “হও” বলেন, তখনই তা হয়ে যায়।

এই আয়াতগুলো মানবজাতিকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে সমগ্র রাজত্ব একমাত্র আল্লাহ তায়ালার হাতেই ন্যস্ত। জীবন ও মৃত্যুর পর প্রত্যাবর্তনও তাঁর দিকেই। তাই মানুষের জন্য একমাত্র নিরাপদ আশ্রয় হলো তাঁর ওপর পূর্ণ ভরসা ও আনুগত্য। দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী শক্তি, সম্পদ বা ক্ষমতার ওপর নির্ভর না করে, মুমিনের কর্তব্য হলো মহান প্রভুর ওপর ঈমান সুদৃঢ় করা।

অতএব, মহান রাব্বুল আলামিনই আমাদের প্রভু ও প্রতিপালক। আমরা কেবলমাত্র তাঁরই ইবাদত করব, তাঁরই সাহায্য কামনা করব এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর ওপর ভরসা রাখব। নিশ্চয়ই তিনি দয়াময়, পরম করুণাময় যিনি তাঁর বান্দাদের ওপর সর্বদা অশেষ রহমত বর্ষণ করেন। এই বিশ্বাসই মুমিন মুসলমানসহ সকল মানুষের ঈমানী ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার প্রেরণা জোগাবে।