এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়নের জন্য পরিবেশ ধ্বংস করতে চাই না। কারন আমাদের একটাই পৃথিবী। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে এ ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে এবং সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে তৈরি পোশাকের (আরএমজি) দ্বিতীয় বড় উৎপাদক হিসেবে বাংলাদেশের সার্কুলার ইকোনমিতে দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ আরএমজি বর্জ্য উৎপাদনেও বাংলাদেশ দ্বিতীয়। সার্কুলার ইকোনমির চাবিকাঠি হলো বর্জ্য হ্রাস, পুনর্ব্যবহার ও রিসাইকেল। এর লক্ষ্য সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে অধিক উপযোগিতা তৈরি করা। এতে উৎপাদক ও ক্রেতা উভয়ই লাভজনক হতে পারে। সেক্ষেত্রে শিল্পোত্তর বর্জ্যের সব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে।
তিনি আজ বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ আয়োজিত "২য় বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমি সামিট" এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মতো অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রমাণ করে দেশের অর্থনৈতিক ও শিল্প বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, এদেশের পোশাক উদ্যোক্তারা সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে যেভাবে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডস এর ডেপুটি হেড অব মিশন থাইস ওডস্ট্রা, বাংলাদেশের নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জান জানোস্কি ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিনসহ উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিবৃন্দ একসময় উপস্থিত ছিলেন।