এগ্রিলাইফ২৪ ডটকমঃ বিএলআরআই এর ভূমিকা হওয়া উচিৎ দেশীয় জাত সংরক্ষণ। আমাদের দেশীয় অনেক জাতই এখন বিলুপ্তপ্রায়। এসব জাত যাতে পুরোপুরি বিলুপ্ত না হয়ে যায়, সেদিকে সতর্ক হতে হবে। এক্ষেত্রে জোনভিত্তিক গবেষণার বিকল্প নেই। জাতীয়ভাবে অনেক সময় কোন বিষয়ের গুরুত্ব বোঝা যায় না, এলাকাভিত্তিক গবেষণার ক্ষেত্রে সেটি সহজেই বোঝা যায়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দেশের একমাত্র প্রাণিসম্পদ গবেষণার জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর বিজ্ঞানী-কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মিজ্ ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, বিএলআরআই যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তা জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে। থেকে দেশের সাধারণ মানুষের কিছু পাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে। উৎপাদক পর্যায়ে উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে খামারিদেরকে সেবা বা সেবামূলক তথ্য দিতে হবে। উৎপাদন খরচ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে কাজ করতে হবে যাতে করে আমাদেরকে বাইরে থেকে মাংস বা ডিম আমদানি করতে না হয়। তবেই আমরা প্রকৃতপক্ষেই খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবো।
গ্রামীন নারী খামারিদের প্রসংশা করে তিনি আরও বলেন, "গ্রামীণ নারীরা প্রাণীর চরিত্র বোঝেন। কোন প্রাণীর আচরণ কেমন, কোন গরু কেমন দুধ দেয়, কোন গরুর দুধের স্বাদ কেমন, কোন মুরগি কেমন ডিম দেয় সেসবই তারা জানেন।" এসময় তিনি বিএলআরআই এর নারী বিজ্ঞানীদের সংখ্যায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন প্রাণিসম্পদ গবেষণায় নারী বিজ্ঞানীদেরও ব্যাপক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জনাব শাহীনা ফেরদৌসী এবং সভাপতিত্ব করেন বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিএলআরআই এর বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান/দপ্তর প্রধান, প্রকল্প পরিচালকসহ সকল পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
আজ সকাল ১০.০০ ঘটিকায় ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে (চতুর্থ তলা) মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। সভায় বিএলআরআই এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং বর্তমান গবেষণা কার্যক্রম তুলে ধরেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং মহিষ উন্নয়ন ও গবেষণা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. গৌতম কুমার দেব।
এর আগে সকালে উপদেষ্টা বিএলআরআই এ পৌঁছে একটি আম গাছের চারা রোপণ করেন। সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভা শেষ করে তিনি ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন গবেষণাগার ও খামার পরিদর্শন করেন। তাঁর পরিদর্শনের মধ্যে ছিলো ট্রান্সবাউন্ডারি এ্যানিমেল ডিজিজ রিসার্চ সেন্টারের ভ্যাকসিন এন্ড বায়োলজিক্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি, দেশি মুরগির খামার, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের খামার, মহিষ খামার, বিএলআরআই ফডার জার্মপ্লাজম ব্যাংক এবং রেড চিটাগাং ক্যাটেল (আরসিসি) গরুর গবেষণা খামার।