‘‘বায়োফর্টিফাইড শস্য উৎপাদন স্কেলিং”বিষয়ক এ্যাডভোকেসি মিটিং’’

মোছাঃ সুমনা আক্তারী: গত ২৯ আগস্ট/২০২৪ খ্রি. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নাটোর জেলার নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ হল রুমে, ‘‘বায়োফর্টিফাইড শস্য উৎপাদন স্কেলিং’’ হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ এর আয়োজনে এ্যাডভোকেসি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ এ কে এম সাদিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন অফিসার ডাঃ মোঃ রাসেল ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন নাটোর থেকে কৃষিবিদ মো:মোস্তাফিজুর রহমান।

হারভেস্টপ্লাস এর ভি আর ডি এস এর নির্বাহী পরিচালক মোছাঃ ফব্রুল নাহার, এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জিংক ধানের চাষাবাদ, জিংক ধানের উপকারিতা, মানবদেহে জিংকের প্রয়োজনীয়তা, জিংক ধানের বীজ উৎপাদন করতে হবে। জিংক ধানের ভাত নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে জিংকের ঘাটতি মেটানো যায়। সকলেরই খাদ্য তালিকায় জিংক পর্যাপ্ত থাকা দরকার। তিনি বোরো মৌসুম ব্রি ধান৭৪, ব্রি ধান৮৫, ব্রি ধান১০০ ও ব্রি ধান১০২ আমন মৌসুমে ব্রি ধান৭২ ও ব্রি ধান৬২ এবং গম ফসলের জাত বারিগম-৩৩ হলো জিংক সমৃদ্ধ ফসলের জাত। জিংক সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় নিয়মিতভাবে রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয় এবং জিংক সমৃদ্ধ ধান চাষ করতে বলেন।

“জিংক ধানের ভাত খেলে পুষ্টি মেধা উভয় মেলে”

বিশেষ অতিথি তার বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশের সরকারি তথ্য বলছে, বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৪৪ শতাংশ শিশু এবং প্রায় সাড়ে ৫৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নারী জিংকের অভাবজনিত রোগে ভুগছে। শরীরে জিংকের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেলে ছেলে মেয়েরা খাটো হয় না। শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ হয়। ক্ষুধা মন্দা দূর করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিশোরী মেয়ে ও গর্ভবতী মায়ের জিংকের অভাব হলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয় এবং গর্ভের বাচ্চার স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দৈনিক শিশুদের ৩-৫ মিলিগ্রাম ও মহিলাদের ৮-৯ মিলিগ্রাম জিংকের প্রয়োজন। মস্তিষ্কের যথাযথ বৃদ্ধি না হওয়া, ক্ষুদামন্দা খাবারে যথাযথ স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া হজমে দুর্বলতা, রোগ ব্যাধির আক্রমণ বৃদ্ধি, অবসাদ, বন্ধত,¡ স্মৃতিশক্তি ও একাগ্রতা হ্রাস, চামড়ার ক্ষত নিরাময়ে বিলম্ব এবং চুল পড়া রোগ জিংক ঘাটতির লক্ষণ। তিনি পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের জন্য সকলকে নিজ নিজ জায়গা হতে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হারভেস্টপ্লাসের মোঃ জাহিদুল হোসেন , অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলার সকল উপজেলার কৃষি অফিসার ও জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, রাজশাহী, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ছাত্র- ছাত্রী এবং এনজিও' অন্যান্য কর্মকর্তা মিলে ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন।