এগ্রিলাইফ২৪ ডটকমঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মানুষের জীবিকা নির্বাহে বহুমুখী উৎপাদনশীল ফলনের দিকে ঝুঁকতে হবে।
আজ সোমবার খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার মনাটেক যাদুগালা মৎস্য চাষ সমবায় সমিতির অফিস কক্ষে সমিতির সদস্যদের সাথে মত বিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এ কথা বলেন।
মৎস্য চাষ সমবায় সমিতির সদস্যদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, ২০০ হেক্টর জলাশয় থেকে বছরে ৭০ টন মাছ উৎপাদন আর তা থেকে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা আয় যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম মনে হচ্ছে। ২০০ হেক্টর জায়গায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে এর উৎপাদন ও আয় বর্তমান থেকে আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। উপদেষ্টা বলেন, মৎস্য চাষের পাশাপাশি জলাশয়ের তীরবর্তী পাড়াগুলোতে সবজি চাষ, হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু পালনসহ বহুমুখী আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে সমিতির আয় বাড়ানো যায়।
সমিতির সদস্যদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, সরকারের বিদ্যমান নিয়ম নীতি অনুসরণ করে সকলকে আত্মকর্মসংস্থানমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে। প্রয়োজনে কফি, কাজু বাদাম, ইক্ষু ও বাঁশ বাগান সৃজন করে নিজেরা স্বাবলম্বী হবেন ও সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলবেন। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, সকলে মিলে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। উন্নয়ন অবশ্যই হবে তবে তা পরিবেশের ভারসাম্য বা ইকোসিস্টেম ঠিক রেখে।
মতবিনিময় সভায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপদেষ্টার সহধর্মিণী মিজ নন্দিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উপসচিব) মোহাম্মদ মাহবুব উল করিম, খাগড়াছড়ি সদর ও মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র রায়, সাবেক খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা চন্দ্র কুমার চাকমা, মহালছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, মনাটেক যাদুগালা মৎস্য চাষ সমবায় সমিতির সভাপতি রত্ন উজ্জ্বল চাকমা, মনাটেক বিহার কমিটির সভাপতি শান্তি বিনয় খীসা ও বাপ্পী খীসা উপস্থিত ছিলেন।