এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:বাংলাদেশের কৃষি শিল্পে সুগন্ধা গ্রুপ এর অংগ প্রতিষ্ঠান সুগন্ধা ফিড মিলস্ লিঃ পোলট্রি, মৎস্য এবং গবাদিপশু খাদ্য (ফিড) উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ঝালকাঠি জেলার দপদপিয়ায় অবস্থিত দক্ষিণ বঙ্গের সর্ব বৃহৎ সুগন্ধা ফিড মিলের উৎপাদিত “প্রিমিয়ার” ব্র্যান্ডের ফিড আরো বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশব্যাপী বৃহৎ পরিসরে ফিড বাজারজাতকরনের লক্ষ্যে দেওয়ার লক্ষে এ কোম্পানীতে যোগ দিলেন মো: শাহাদাত হোসেন তৌফিকী। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) তিনি চীফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে নতুন কর্মক্ষেত্রে যোগ দেন।
১৯৯৫ এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের Finance & Banking বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স এবং MBA ডিগ্রী অর্জন শেষে ১৯৯৬ সালে শাহাদাত হোসেন তৌফিক কর্মজীবরেন পা রাখেন। প্রায় ২৬ বছরের অধিক সময় ধরে দেশের পোলট্রি, মৎস্য এবং গবাদিপশু খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ শিল্পে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বর্পূণ পদে সাফল্যের সাথে কাজ করেছেন। কর্মজীবনে তিনি ইনডেক্স এগ্রো, ন্যাশনাল ফিড অ্যান্ড চিকস্, ইউকে বাংলা ফিডস অ্যান্ড চিকস্, বেঙ্গল ফিড অ্যান্ড ফিসারিজ লিমিটেড, ইউনাইটেড ফিড লিমিটেড, ইউনিক হ্যাচারি অ্যান্ড ফিড লিমিটেড (ফ্রেশ ফিড), এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাস্ট, রোমানা পেইন্টস্, দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উর্ধতন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়ে এগ্রিলাইফকে মো: শাহাদাত হোসেন তৌফিকী বলেন, “নিরাপদ খাদ্য,নিরাপদ স্বাস্থ্য” বাস্তবায়নের লক্ষ্য এবং স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা সুগন্ধা ফিডমিল-এর রয়েছে “প্রিমিয়ার ফিড” ব্র্যান্ডের বিভিন্ন প্রকার ফিড। বাংলাদেশে এই প্রথম চিংড়ির জন্য এটিই একমাত্র ফিডমিল যা প্রকৃতই চিংড়ি ফিড উৎপাদনের মূল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতি ঘন্টায় ১২-১৫ টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ব্রয়লার খাদ্য ও ১০ টন লেয়ার খাদ্য উৎপাদনের আরেকটি প্লান্ট। ফিড মিলটির মোট ক্যাপাসিটি ৩৫ টন ( ব্রয়লার ১০ টন লেয়ার ১০ টন ভাসমান ফিস ফিড ৫ টন ডুবন্ত ফিস ফিড ৫ টন ক্যাটল ৩ টন এবং চিংড়ি ২ টন)। এছাড়াও এখানে কাঁচামাল সংরক্ষনের জন্য রয়েছে ৯০০০ টন ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি সাইলো এবং জাহাজ থেকে মালামাল লোড-আনলোড করার জন্য পোর্ট ফ্যাসিলিটি।
নতুন কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে তিনি সংশ্লিস্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।