এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থ বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণ করছে। তিনি বলেন, বনকে ভালোবাসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সবুজ বিল্পবের ডাকে সাড়া দিয়ে সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানাই। হিন্দু, মুসলমান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সবাই একত্রে বন রক্ষা করতে হবে।
এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: মধুপুরের বন দেশের জাতীয় সম্পদ। এটি টাঙ্গাইলের জন্য ঐতিহ্য ও গৌরবের। ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বন রক্ষা করা খুবই কঠিন। নানান কারণে বনের অনেকটা ধ্বংস হয়েছে। মধুপুরের বন রক্ষার জন্য আমরা নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যারা বন কাটত, তাদেরকে আমরা বন রক্ষার জন্য ভলান্টিয়ার করেছি। ২৮ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলছে।
এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে ক্রমশ কৃষি জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে। এ অবস্থায়, ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দেয়া খুবই কঠিন। সেজন্য, আমরা কম সময়ে অধিক ফলন ও একই জমি থেকে বার বার ফসল ফলানোর উপর গুরুত্বারোপ করছি। আমাদের বিজ্ঞানীরা স্বল্পজীবনকালীন উন্নত জাতের ধানের ও অন্যান্য অনেক ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে, যা চাষের মাধ্যমে বছরে ০১ টি অতিরিক্ত ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে। একইসঙ্গে, ফলনও অনেক বেশি। এই জাতগুলোকে কৃষকের নিকট দ্রুত জনপ্রিয় করতে হবে।
এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের কৃষি ও কৃষিবিদরা এখন স্বর্ণযুগ পার করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষির উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদারহস্তে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন। ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের ৫০-৭০% ভর্তুকিতে কৃষিযন্ত্র দেয়া হচ্ছে। সারে বিশাল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। এই ভর্তুকির কথা শুনে বিদেশিরা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অবাক হয়, চমকে উঠে। তারা জানতে চায়, এতো ভর্তুকি প্রদান কেমনে সম্ভব? আমরা জবাবে বলি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণেই এটি সম্ভব হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ভর্তুকিকে কৃষিতে বিনিয়োগ হিসাবে বিবেচনা করেন।
রাজধানী প্রতিনিধি: কৃষি গবেষণা ও শিক্ষায় ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার অসামান্য অবদান চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে। তার অবদানের কারণে দেশে কৃষি গবেষণায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বর্তমান সরকারের উদারনীতি এবং মাননীয় কৃষিমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গবেষণায় প্রাইভেট সেক্টর ৩২% গ্লুটেন সম্পন্ন, উচ্চ ফলনশীল গমের দুটি জাত উদ্ভাবন করেছে। ৯৩% ভাগ হাইব্রিড ধানের জাত নিবন্ধন করেছে, ২২.৫% ড্রাই-ম্যাটার সম্পন্ন ইন্ডাসট্রিয়াল আলু নিবন্ধন করেছে, ৪৫ টি সবজির প্রায় ৬০০টিরও অধিক হাইব্রিড নিজস্ব গবেষণা বা আমদানী করে ছাড় করেছে। এছাড়া ৯০% বেশি হাইব্রিড ভুট্টার জাতসহ সূর্যমুখী, বিদেশী ফল, ফুল এবং অন্যান্য ফসল প্রবর্তনে বেসরকারি সেক্টর উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর শুরু করেছিলেন কাজী বদরুদ্দোজা। তিনি এ দেশের সনাতন কৃষিকে বিজ্ঞানভিত্তিক করে গড়ে তুলেছিলেন, যার সুফল এখন আমরা ভোগ করছি। তবে এ রুপান্তরের দ্বিতীয় অংশটি এখন বড় চ্যালেঞ্জের। ধান রোপন থেকে শুরু করে মাড়াই পর্যন্ত এখন যান্ত্রীকিকরণ করতে হবে। এছাড়া কৃষির সকল ক্ষেত্রে অধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকিকরণ করতে হবে। এর সঙ্গে মূল্য সংযোজন বাড়াতে কৃষি প্রক্রিয়াজতকরন বাড়াতে হবে। কাজী বদরুদ্দোজা শুধু বাংলাদেশের কৃষির পথিকৃত নন, তিনি ভিয়েতনামের জাতীয় কৃষি মহাপরিকল্পনাতে অবদান রেখেছেন।