এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, গতানুগতিক কৃষিকাজ করে মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হবে না। কৃষি আধুনিক হলেই মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। সেজন্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে কাজ করছে। কৃষি উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে বর্তমান সরকার সমন্বিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। নানান উদ্যোগের ফলে কৃষি এখন যান্ত্রিকীকরণ হচ্ছে, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাত বাড়ছে ও রপ্তানিও বাড়ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার সাপছড়ি ও দ্বিচানপাড়ায় ভার্মি কম্পোস্ট, সূর্যমুখীর খেত, মাল্টা, আনারস কাজুবাদাম ও কফি বাগান পরিদর্শন এবং চাষিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ভিয়েতনাম কাজুবাদাম রপ্তানি করে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় করে। দেশটি যে পরিমাণ রপ্তানি করে, তার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করে। বাকী ৫০-৬০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করে প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করে থাকে। আমাদের দেশেও কাজুবাদাম উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করে ভিয়েতনামের মতো আয় করা সম্ভব। সেজন্য, পাহাড়ের বিশাল এলাকায় এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। সেলক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, কৃষিকে আরো লাভজনক করতে হলে ধান, গম, শাকসবজিসহ প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি কফি, কাজুবাদাম, গোলমরিচ, আনারস, আমসহ বিভিন্ন অপ্রচলিত অর্থকরী ফসলের চাষ করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, সিলেট ও মৌলভীবাজার যেমন চায়ের জন্য নামকরা, তেমনি কাজুবাদাম ও কফির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা পরিচিত হয়ে উঠবে। কফি-কাজু বললেই মানুষ পাহাড়কে চিনবে। পাহাড়ে কাজুবাদাম ও কফি চাষের সম্ভাবনা অনেক। এসব ফসল একবার লাগালে অনেকদিন টিকবে, বছর বছর ফসল লাগাতে হবে না। এতে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হওয়া যাবে।
মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে। এ উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত থাকলে পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য বোঝা নয়, দেশের জন্য সবচেয়ে সম্পদশালী এলাকায় পরিণত হবে।
পরিদর্শনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, দীপংকর তালুকদার এমপি, বাসন্তী চাকমা এমপি, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো: বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।