এগ্রিলাইফ ডেস্ক: দেশে এ জাতের আনারসের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপির নির্দেশনায় উদ্যোগ গ্রহণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। ফিলিপাইন থেকে আমদানি করে গতবছর প্রথম দেশে এ জাতের চারা টাঙ্গাইল, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন ও খাগড়াছড়ি জেলার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছিল। সেগুলোতে এ বছর ফলন এসেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই কাতারে রপ্তানি শুরু হবে বলে জানা গেছে।
সুপার সুইট হিসেবে পরিচিত বিখ্যাত এমডি-২ জাতের আনারস খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন। বিশ্ববাজারে এর অত্যাধিক চাহিদা রয়েছে। এটি রপ্তানিযোগ্য। এ জাতের আনারস আমাদের দেশের প্রচলিত আনারসের তুলনায় অনেক বেশি মিষ্টি, ভিটামিন সি এর পরিমাণ ৩-৪ গুণ বেশি। এমডি-২ আনারস একইরকম সাইজের হয়। এই আনারস দ্রুত পঁচে না। এছাড়া দেশীয় আনারসের চোখগুলো থাকে ভেতরের দিকে। আর এ জাতের আনারসের চোখগুলো থাকে বাইরের দিকে। ফলে পুষ্টিগুণসম্পন্ন অংশের অপচয় কম হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের পাইনঅ্যাপেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ( পিআরআই) ১৯৬১-৮০ সাল পর্যন্ত গবেষণা করে এ জাতের আনারস উদ্ভাবন করে। এর ব্যতিক্রমী গুণের কারণে ইতিমধ্যে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।