এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: দেশের যে কোন মৌজার সুনির্দিষ্টভাবে একটি প্লট বা জমিতে কী ধরনের ফসল হবে, কতটুকু সার,বীজ লাগবে- সব তথ্য খামারি অ্যাপে পাওয়া যাবে। খামারি অ্যাপ ব্যবহার করলে ধান আবাদে সারের পরিমিত ব্যবহার করা যাবে, এতে ধানের জমিতে বিঘাপ্রতি সারের খরচ এক হাজার টাকা কমবে। ধানের ফলনও বিঘাপ্রতি এক মণ বাড়বে।
আজ শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি উত্তরপাড়ায় খামারি অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাই ও উচ্চফলনশীল জাতের ধানের কর্তন অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ( বিএআরসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।
বিএআরসি কর্তৃক তৈরি 'খামারি' মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা সরেজমিনে দেখে মন্ত্রী বলেন, দেশের চাষিরা ইউরিয়া ও অন্যান্য সার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যবহার করে। বেশি সার দিলেই বেশি ফলন হয় না। যতটুক দরকার, ততটুকু সার দিতে হবে। এক্ষেত্রে খামারি অ্যাপ কৃষকদের সহায়তা করবে।
ব্রিধান ১০৩ এর নমুনা কর্তন শেষে কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ দেশে জমি কমছে। ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান বজায় রাখতে হলে উন্নত ও উচ্চফলনশীল জাতের ধানের আবাদ ছড়িয়ে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, নমুনা কর্তনে ব্রিধান ১০৩ এর বিঘাপ্রতি প্রায় ২৫ মণ ফলন পাওয়া গেছে। দেশের অন্যান্য জায়গাতেও একইরকম ফলন পাওয়া গেছে। ব্রি ধান১০৩ জাতের গড় জীবন কাল ১৩০ দিন (১২৮-১৩৩ দিন)। প্রচলিত জাতের তুলনায় এর বৈশিষ্ট্য হলো, ব্রি ধান১০৩ এর কান্ড শক্ত, পাতা হালকা সবুজ এবং ডিগ পাতা খাড়া, লম্বা ও চওড়া।
অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, স্কয়ার হাসপাতালের উপদেষ্টা ডাক্তার সানোয়ার হোসেন, ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।