দেশে ১৫০০ কোটি টাকার ফুলের মার্কেট রয়েছে

রাজধানী প্রতিনিধি: দেশে ১৯৮৩-৮৪ সালের দিকে অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হলেও বাংলাদেশে কৃষক ও ব্যবসায়ী এখন মিলে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ এই ফুল চাষের সাথে জড়িত। দেশে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার ফুলের মার্কেট রয়েছে। দেশের প্রান্তিক ফুল চাষীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ ফুল বাণিজ্য এ অবস্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি আয়োজিত "Global Flower Market Quality Standards and Challenges for Bangladeshi Florist" শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরেন আলোচক অতিথিবৃন্দ। আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০:০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিলের সেমিনার রুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।

কৃষি মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব জনাব আনোয়ার ফারুক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, পরিচালক (ফিল্ড সার্ভিস), ডিএই।

বক্তারা বলেন, ফুলের ব্যবহার যে দিন দিন বাড়ছে; ফুল ছাড়া এখন আর কোন অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে না। এখন আমাদের প্রয়োজন এই প্রান্তিক চাষীদের টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সঠিক নির্দেশনা দেওয়া। ফুলের আন্তর্জাতিক বাজারের অবস্থা কেমন সেখানে আমাদের অবস্থান কি সেই বিষয়গুলি কর্মশালায় তুলে ধরেন আলোচকরা।

তারা আরো বলেন, সারা বিশ্বে যেখানে ১০ বিলিয়ন ডলার ফুলের মার্কেট রয়েছে সে তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে এগুলি মোকাবেলা করে আন্তর্জাতিক বাজার ফুলের বাজার ধরতে হলে আমাদেরকে অনেক বিষয়গুলি চিন্তাভাবনা করতে হবে। সরকারিভাবে কোন ফুলের জন্য নীতিমালা নেই এই সেই বিষয়গুলো উল্লেখ করেন আগত অতিথিবৃন্দ।

আমাদের কৃষির অন্যতম ক্যাশ ক্রপ হিসেবে ফুল চাষীদের কে উৎসাহিত করা উচিত; তাদের সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করা উচিত। কর্মশালায় ফুল চাষীদের দক্ষতা উন্নয়ন করতে করার জন্য নানা পরামর্শ প্রদান করেন অনুষ্ঠানের মূল আলোচকরা। সুন্দরভাবে তাদের পেপার প্রেসেন্টেশন করেন যেখান থেকে অনেক কিছুই শেখার এবং প্রয়োগ করার সুযোগ রয়েছে আমাদের ফুল চাষীদের জন্য।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রী বাবুল প্রসাদ,সভাপতি, বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি। মুল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন
Jan Van Berg, Expert: PUM! Netherlands ও জহির উদ্দিন মোঃ বাবর, সাংঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি।

কী নোট এর উপর আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ড. সালেহ আহমেদ, Representative, CABI PlantwisePlus in Bangladesh, ড. অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ড. ফারজানা নাসরীন খান, মুখ্য, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ফুল বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দীক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব (মাটি ও মানুষ।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন সাভারের ফুল চাষী মো: মানু মিয়া, হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের জয়েন্ট ডিরেক্টর মিতুল কুমার সাহা, কৃষিবিদ মো: শফিউল আজম, সম্পাদক, এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম সহ আরো অনেকে।

কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ছাড়াও, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।