রাজশাহীতে পার্টনার প্রোগামের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মো: আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি: ২০ শে জানুয়ারি ২০২৪ রাজশাহী জেলার শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং “পাটনার” প্রকল্পের অর্থায়নে রাজশাহী এবং বগুড়া অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কৃষক, বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে দিনব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ওয়াহিদা আক্তার, সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র সরকার, মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডক্টর শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, চেয়ারম্যান, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, জনাব আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ (এনডিসি), চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, জনাব আব্দুর রশিদ, নির্বাহী পরিচালক, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী, জনাব মো: শাজাহান কবির, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষণায় ইনস্টিটিউট, ডক্টর দেবাশীষ সরকার, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ডক্টর ওমর আলী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সুগার ক্রপস গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষিবিদ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, পরিচালক, সরেজমিন উইং, ডিএই, খামারবাড়ি, ঢাকা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মোঃ মিজানুর রহমান, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর, পার্টনার প্রকল্প, অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মোঃ শামছুল ওয়াদুদ, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহী।

প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে তিন লক্ষ হেক্টর জমিতে উত্তম কৃষি পরিচর্যা, দুই লক্ষ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান ১০০ হতে আবিস্কৃত নতুন জাত গুলি দ্বারা প্রচলিত ধানের জাত প্রতিস্থাপন, এক লক্ষ হেক্টর জমিতে আধুনিক সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, দুই কোটি সাতাশ লক্ষ কৃষক পরিবারকে স্মার্ট কৃষি কার্ড প্রদান, দুই লক্ষ তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি (৩৫ বছর কম বয়সী কৃষকদের জন্য) এবং পাঁচটি ফসলের (আম, আরু লেবু, চিকন চাল এবং টমেটো ) সাপলাই চেইন উন্নয়ন সহ বিভিন্ন কার্যক্রম এই প্রোগ্রাম দ্বারা করা হবে। এর ফলে খোরপোষ কৃষি বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর ঘটবে এবং কৃষি এবং কৃষকের দৃশ্যমান উন্নয়ন হবে, আর সামগ্রিক কৃষি হবে টেকসই, নিরাপদ এবং লাভজনক।

প্রোগ্রামটিতে আরো থাকছে কৃষি সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার, গবেষণা ও উন্নয়ন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও সেচ যন্ত্রপাতি, মোবাইল ক্রপ ক্লিনিক, কৃষিকাজে অনুদান, বিপণন ব্যবস্থার মানউন্নয়ন, কৃষক এবং কৃষি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ইফাদের আর্থিক সহযোগিতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন হবে। ৫ বছর মেয়াদী এই কার্যক্রমের শেষ সময় ৩০ জুন ২০২৮ খ্রিস্টাব্দ।

এই অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী কৃষক সাংবাদিক উদ্যোক্তা রপ্তানিকারক উৎপাদক কৃষি পণ্য ব্যবসায়ী সহ প্রায় ৫০০ জন উপস্থিত ছিলেন।