নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে লবণাক্ততা এবং সামুদ্রিক জোয়ারপ্রবণ অঞ্চলের জন্য উদ্ভাবিত কৃষি প্রযু্িক্ত শীর্ষক গবেষণা-সম্প্রসারণ-কৃষক সন্নিবদ্ধ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের নিজস্ব সেমিনার রুমে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএআরআইর পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম এবং ডিএইর অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা স্মৃতি হাসনার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএআরআই পটুয়াখালীর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সহীদুল ইসলাম খান, ভাসমান কৃষির প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, ডিএই ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, ফরিদপুরের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালীর উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, ফরিদপুর সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং কৃষক মিলে ৯০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, কৃষিতে দক্ষিণাঞ্চল প্রাকৃতিকভাবে কিছুটা অন্তরায়। এর মধ্যে বন্যা এবং লবণাক্ততা অন্যতম। তা উত্তরণে প্রতিকূলসহিষ্ণু জাত ব্যবহার করে এ অঞ্চলে ফসলের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। আর এজন্য সম্প্রসারণবিদ, কৃষি বিজ্ঞানী এবং কৃষককে এগিয়ে আসতে হবে।
পরে প্রধান অতিথি বাবুগঞ্জের রাকুদিয়ায় রোপিত ৫০ একরের বোরোধানের সমলয়প্লট পরিদর্শন করেন। এসময় ডিএই বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান, উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান, সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মামুনুর রহমান অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।