এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: "নিরাপদ পোল্ট্রি ও পোল্ট্রি জাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন"-এর লক্ষে কক্সবাজার প্রাণিসম্পদ অফিসে কোস্ট ফাউন্ডেশনের আরএমটিপি (নিরাপদ পোল্ট্রি) প্রকল্পের উদ্যোগে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারী) Rural Microenterprise Transformation Project (RMTP) "নিরাপদ পোল্ট্রি ও পোল্ট্রিজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন" শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোঃ সাহাব উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন ডা: রুপন চাকমা (উপপরিচালক-জেলা কৃত্রিম প্রজনন ), ডা: অসীম বরণ সেন (উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ কবির হোসেন, মোঃ শাহজাহান আলী( কৃষি বিপণন কর্মকর্তা )।
সভায় ডিম ও মাংস-এর বাজার ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র খামারি যারা নিজেদের সমস্ত পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে খামার করেন তাদের সুবিধা ও অসুবিধা, ভ্যকসিন ও উন্নয়ন নিয়ে বিশেষ আলোকপাত করা হয়। এছাড়াও কক্সবাজার জেলার উপজেলাগুলোর পোল্ট্রি খামারিদের সমন্বয়ে কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহায়তায় জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে প্রকৃত খামারীদের নিয়ে কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। উল্লেখ্য কক্সবাজার জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ৪০ হাজারের অধিক পোল্ট্রি খামারি রয়েছে।
এছাড়াও জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট এক্টররা এই সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবেন বলে জানানো হয়। এসময় নিরাপদ পোল্ট্রি ও পোল্ট্রিজাত পণ্যের বাজার উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন ডা: রুপন চাকমা।
সভায় কর্মএলাকায় জেলার গবেষণা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, গ্লোবাল গ্যাপ মাস্টার ট্রেইনার, মেডিসিন ও ফিড কোম্পানির প্রতিনিধি, মেডিসিন বিক্রেতা, ভ্যাকসিন বিক্রেতা, ফিড বিক্রেতা, বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহকারী/ডিলার, বাচ্চা সরবরাহকারী, ব্যাপারী, হাটের ইজারাদার, পোল্ট্রি খামারের প্রতিনিধি, হ্যাচারির মালিক, ঋণ কার্যক্রমের প্রতিনিধি, ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের প্রতিনিধি, পোল্ট্রি প্রসেসর, ডিমের আরতের প্রতিনিধি, লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার, ব্যাপারি, ফুট সেফটি অথরিটির প্রতিনিধি গণ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে কক্সবাজার জেলায় সর্বপ্রথম পোল্ট্রি মিট/ রেডি টু কুক মিট প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্যে প্রকল্প হতে একজন উদ্যেক্তাকে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। উক্ত মিট প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলায় পোল্ট্রি সেক্টরে নতুন মাত্রা যোগ হবে এছাড়াও উক্ত মিট প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপদ মুরগীর মাংস ক্ষুদ্র আয়ের লোকজনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে। এর পাশাপাশি জৈব সার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্যে একজন উদ্যেক্তাকে এবং ভ্যাকসিন হাব স্থাপনের জন্যে মোট তিনজন উদ্যেক্তাকে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। কোস্ট ফাউন্ডেশনের আরএমটিপি প্রকল্পের ইন্টারভেনশন গুলো নিয়মিত পরিদর্শনের আশ্বাস দেন জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।