বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিক্স সোসাইটির ১১তম বার্ষিক সম্মেলন

মোঃ জনি শিকদার, গবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিক্স সোসাইটির (বিএমপিএস) ১১তম বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন সম্পন্ন হয়। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কেআইবির সম্মেলন কক্ষে এই আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) মেডিকেল ফিজিক্স এন্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম আবু জাকারিয়া বলেন, 'মেডিকেল ফিজিক্স শুধুমাত্র রোগীর সেবা করার জন্য নয়। এখানে শেখা এবং গবেষণাধর্মী অনেক কাজের সুযোগ আছে। বিদেশেও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আমরা ছোট করে শুরু করেছিলাম। তবে এখন এটা একটা বড় সম্প্রদায়। আমাদের পথ সহজ নয়। এখনো অনেক পথ যেতে হবে। মেডিকেল ফিজিক্সে কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়েছে। আমরা কিছু প্রশিক্ষণ সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করেছি।

অন্য বক্তারা বলেন, বিএমপিএস প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমরা অনেক গবেষণা প্রকাশনা করি। তবে পাশাপাশি আমাদের সার্টিফাইড মেডিকেল ফিজিসিস্টের জন্য ভাবতে হবে। অন্যথায় আমরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবো না। তাছাড়া আমাদের পিএইচডি ধারকের সংখ্যা আরও বেশি হওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে বিএমপিএসের সভাপতি ড. মোঃ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. পারভিন আক্তার বানু, কলকাতার এ্যাপোলো হাসপাতালের প্রধান মেডিকেল ফিজিসিস্ট ড. বিপ্লব সরকার, ডেল্টা হাসপাতাল লিমিটেডের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী মঞ্জুর কাদের, যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল ফিজিসিস্ট আব্দুস সাত্তার খালিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অধ্যাপক জাকারিয়ার 'ব্রিজ বিল্ডার্স' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়া ড. আনোয়ারুল ইসলামকে বিএমপিএস বেস্ট পিএইচডি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এছাড়াও, তিনি দক্ষিণ এশিয়ান মেডিকেল ফিজিক্স এবং ক্যান্সার গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

প্রসঙ্গত, বিএমপিএস মেডিকেল ফিজিক্স শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং পেশাগত উন্নয়নের জন্য একটি পেশাদার সংস্থা। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি একাডেমিক এবং বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করে আসছে।