মোঃ খালেদীন আনাম,:আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার Lilly Nicholls ডাল গবেষণা কেন্দ্র ঈশ্বরদী পাবনার মাঠ পরিদর্শন করেন। সেখানে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ও গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি, কানাডা এর যৌথ অর্থায়নে মসুরের তাপসহিষ্ণু জাত স্ক্রিনিং এর পরীক্ষামূলক প্লট স্থাপিত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়াহিদা আক্তার, সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়; ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল; ড. দেবাশীষ সরকার, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা; ড. মো: আলতাফ হোসেন, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও স্টেশন ইনচার্জ, ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী, পাবনা; কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চল বগুড়া, মু. আসাদুজ্জামান, জেলা প্রশাসক, পাবনাসহ কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
কানাডিয়ান হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। স্বাধীনতার পরবর্তীতে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কানাডা এবং বাংলাদেশের সুসম্পর্ককে বহুমাত্রিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস চলমান আছে। ডাল গবেষণা কেন্দ্রসহ অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।
কৃষি সচিব বলেন, আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরকার ডাল এবং তেল ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেছে। বিশেষ করে ডালের স্বল্প মেয়াদি, রোগ প্রতিরোধী ও পরিবর্তনশীল জলবায়ু সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি সম্ভব। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এবং কানাডার সেস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গেøাবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস) এর মাধ্যমে ইতোমধ্যেই কৃষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার নিমিত্তে বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও বঙ্গবন্ধু-ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। জিআইএফএস এর মাধ্যমে সাম্প্রতিক প্রাপ্ত ৩০০ টি জার্মপ্লাজমের মধ্য থেকে কাক্সিক্ষত জাত প্রাপ্ত হলে বাংলাদেশে ডাল ফসলের চাষাবাদ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করেন।
এর পূর্বে অতিথিবৃন্দ ডাল গবেষণা কেন্দ্রে সম্মেলন কক্ষে এক শুভেচ্ছামূলক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।