এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: যে কোনো ফল-ফসল ও প্রযুক্তির গবেষণালব্ধ সর্বশেষ ফলাফল গুলি তথ্য ও উপাত্ত সহকারে কৃষক পর্যায়ে দ্রুত পৌঁছাতে হবে। কৃষিকে এগিয়ে নিতে আমাদের গবেষক-সম্প্রসারণবিদদের কার্যক্রমকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন গবেষণা ও সম্প্রসারণের মধ্যে শক্তিশালী ও দ্রুত লিংকেজ স্থাপন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে যশোরে এক আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আগত বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএই সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ উইং-এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. জগৎ চাঁদ মালাকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. মো. শাহ কামাল খান, প্রকল্প পরিচালক, কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প, ডিএই, খামারবাড়ি, ঢাকা।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক জনাব আবু হাসান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (১৬ মে) এই কর্মশালাটি সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪ টায় সমাপ্ত হয়।
কর্মশালায় যশোর অঞ্চলের জেলা সমূহের প্রদর্শনী স্থাপন, মাঠ দিবস ও ফলোআপ কার্যক্রম বিষয়ক উপযোগিতা এবং আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ফসলের জাত ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা পাওয়ার পয়েন্ট-এর মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালায় BADC, BRRI, BARI, BINA, SRDI, SCA, ATI' র প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কৃষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গার ডিডিগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাজস্ব খাতের এই প্রদর্শনী প্রকল্পটি কৃষিক্ষেত্র সহায়ক হবে বলে মনে করেন বক্তারা। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে গবেষণার সর্বশেষ টেকসই প্রযুক্তিগুলি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব বলে আগত একাধিক বক্তা মনে করেন। অন্যদিকে কৃষক পর্যায়ে কোন এলাকায় কোন ফসলটি ভালো হচ্ছে কোনটি সমস্যা হচ্ছে সেগুলো কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে গবেষণা গবেষকদের নিকট পৌঁছাতে হবে।
কর্মশালায় জেলা এবং উপজেলার পক্ষ হতে রাজস্ব প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম স্লাইডের মাধ্যমে প্রেজেন্টেশন করা হয়। এতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায়ধীন বিভিন্ন দপ্তরের ৭৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।