মো. জুলফিকার আলী: আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই,আকবরপুর, মৌলভীবাজার এর আয়োজনে আঞ্চলিক গবেষণা-সম্প্রসারণ পর্যালোচনা ও কর্মসূচী প্রণয়ন” কর্মশালা ১৭-১৮ মে, ২০২৩ (দুই দিন ব্যাপী) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মশালায় ড. মো: হায়দার হোসেন, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, আকবরপুর, মৌলভীবাজার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:-ড. দিলোয়ার আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যয়ন), বিএআরআই, গাজীপুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:- কৃষিবিদ মো. মোশাররফ হোসেন খান, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল, সিলেট।
প্রধান অতিথি ড. দিলোয়ার আহমদ চৌধুরী বক্তব্যে বলেন- সিলেট অঞ্চলের অনাবাদি জমি চাষের আওতায় এনে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি, খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পুরণ করতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও যুগোপযোগী বৈরী আবহাওয়া প্রতিরোধী হাইব্রিড জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হচ্ছে। তিনি সিলেট অঞ্চল তথা দেশের কৃষি উন্নয়ন ও গবেষণা কাজের জন্য সহযোগিতা করার জন্য উপস্থিত সকলকে আহবান জানান এবং চলমান গবেষণা কাজের সাথে একাগ্রতা প্রকাশ ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
২০২২-২৩ অর্থ বছরের সম্পদিত গবেষণা ও সম্প্রারণ কার্যাবলী তথ্য উপস্থাপন করেন -ড. মো: জামাল হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র,বিএআরআই, আকবরপুর, মৌলভীবাজার ও ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, সিলেট । এছাড়াও সিলেট অঞ্চলের চলমান কার্যক্রম ও গবেষণা সম্প্রসারণের সুপারিশসহ তথ্য উপস্থাপন করেন- ডিএই, বিএডিসি, এসআরডিআই, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সার্ভিস এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
সিলেট অঞ্চলের অনাবাদি জমি চাষের আওতায় এনে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি, খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে ফসল উৎপাদনের সমস্যা চিহ্নিতরণ ও যুগোপযোগী বৈরী আবহাওয়া প্রতিরোধি হাইব্রিড জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং কৃষির উন্নয়নের জন্য কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণ এর সার্বিক অংশগ্রহণে দুই দিন ব্যাপী এই কর্মশালায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। অত্র অঞ্চলের ২০২৩-২৪ সালের প্রস্তাবিত গবেষণা ও সম্প্রসারণ কর্মসূচী চূড়ান্ত করা হবে।
উক্ত কর্মশালায় সিলেট অঞ্চলের বিএআরআই, ডিএই,এসআরডিআই, হর্টিকালচার সেন্টার, বিনা, ব্রি, বিএসআরআই, বিএডিসি, চা, বন ও ইক্ষু গবেষণা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সার্ভিস সহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং এনজিও এবং কৃষক প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।