সমসাময়িক ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ধারণা করা হয়, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট আরো ঘনীভূত হবে। তারই মোকাবিলায় সবার সহযোগিতায় জিএলটিএস বাংলাদেশে ১০ লাখ এবং বিশ্বে জলবায়ুজনিত হুমকিতে থাকা দেশগুরোতে এক কোটি বৃক্ষ রোপণের কার্যক্রম চালাতে চায় জিএলটিএস।
মূলত, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সব মানুষের মধ্যে পরিবেশ প্রেম এবং গাছের অপরিহার্যতা তুলে ধরতে চায় সংগঠনটি। জিএলটিএস মনে করে, বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এবং পরিবেশকে পুনর্জীবিত করার একমাত্র উপায় হলো বৃক্ষ রোপণ করা।
পরিবেশ পুনরুদ্ধারে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে বিশ্বের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবিদের নিয়ে জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় কাজ করছে গ্লোাবাল ল থিঙ্কার্স সোসাইটি (জিএলটিএস)। এজন্য বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীকে একত্রিত করার লক্ষ্যে ‘গার্ডিয়ান অফ দ্য আর্থ [জি আর্থ]’ নামক ২০৩০ সাল অবধি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিতকরণের জন্য উদ্যেগ নিয়েছে।
আজ ২০ মে শনিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায় গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি (জিএলটিএস)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও জিএলটিএসের প্রধান উপদেষ্টা ডেইভ ডাউলন্ড। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আমরা সবাই ফাউন্ডেশনের অপু আজাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে ছিলেন জিএলটিএসের সভাপতি।
জিএলটিএসের প্রধান উপদেষ্টা ডেইভ ডাউলন্ড বলেন-আগামী বিশ্ব গড়ায় এই উদ্যেগ এবং সফলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। গাছ লাগানোর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।
জিএলটিএসের প্রধান উপদেষ্টা ডেইভ ডাউলন্ড বলেন, আগামী বিশ্ব গড়ায় এ উদ্যেগ এবং সফলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। গাছ লাগানোর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। অপু আজাদ বলেন, আমরা সবাই মিলে সবুজ পৃথিবী গড়ার কার্যক্রমে একসাথে এগিয়ে যাব।
এর আগে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের ৯ টি জেলায় এবং বিশ্বের ৫ টি মহাদেশের ১১ টি দেশে ২৬ মিনিটের জন্য ১৮ টি সবুজ মানব প্রাচীর গঠন করে। এতে অংশগ্রহণ করে ২৬০০ এর অধিক মানুষ। ১০টি দেশ হচ্ছে-ভারত, নেপাল, মেক্সিকো, পাকিস্তান, মালয়, আইভরি কোস্ট, হাংগিরি, গাম্বিয়া, ক্যমেরুন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ। দেশের ৯ জেলার মধ্যে রয়েছে-ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, সিলেট ও বরগুনা।
বাংলাদেশ থেকে যুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ স্কাউট, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ইপসা, আমরা সবাই ফাউন্ডেশন, সম্প্রতি ও সৌহার্দ, সিএসডাব্লিউপিডি সহ আরো ১৬ টি সংগঠন। আমেরিকা মহাদেশ থেকে আবনার প্লাটা, অস্ট্রেলিয়া থেকে ৯৮/০০ নিউ এক্ট, ইউরোপ থেকে মাইন্ডফুলেয়েন্সার, আফ্রিকা থেকে গার্লস রাইজিং মালাউই, সেইভ লাইফ গাম্বিয়া এবং এভিএসডি, এশিয়া থেকে লুম্বিনি ওয়ার্ল্ড পিস নেপাল, ইন্ডিয়া থেকে মাউন্ড গাইড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং পিস অফ পাকিস্তান অংশগ্রহণ করেছিল আরো ১০টি সংগঠন।
‘সবুজ যুদ্ধ, সবুজে মুক্তি, একসাথে জলবায়ু পরিবর্তন রুখি’ এ স্লোগানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সবুজ বিশ্ব গড়ার দাবি তুলে ধরে জিএলটিএস ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।