এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: প্রাণিসম্পদ খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ বাড়াতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত এনিমেল হাজবেন্ড্রি প্রফেশনাল যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রাণিসম্পদ খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রাণিসম্পদ ভ্যালু চেইন ব্যবস্থার উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত সহায়তার বৃদ্ধি, পিপিপি এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (SDG) অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষে এ পেশাজীবিদের কাজে লাগাতে হবে।
বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রি এসোসিয়েশন (বাহা)-এর ১১তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সেমিনার উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ এসব কথা বলেন।
বাণীতে ড. নাহিদ রশীদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে এ খাতের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্বের বহুল আলোচিত বিষয়ের মধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অন্যতম একটি বিষয়। আর নবীন এনিমেল হাজবেন্ড্রি প্রফেশনালগণ প্রযুক্তির ছোঁয়ায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে অভিযোজন (Acclimatization) সহ তাদের জ্ঞান ও কর্মক্ষেত্র বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হলো আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচলিত উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় করার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আগামী প্রজন্ম ডিজিটাল প্রযুক্তির উম্মাদনায় আঙ্গুলের ছোঁয়াকে কর্মক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনায় নিতে পারে। সে লক্ষে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং পঞ্চম প্রজন্মের টেলিকম প্রযুক্তি কিভাবে প্রাণিসম্পদ খাতের উৎকর্ষ সাধনে ব্যবহার করতে হবে তার গাইডলাইন ও বাস্তবায়ন কৌশল জানা খুবই জরুরী। সেজন্য বর্তমান প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কৌশলকে প্রযুক্তির ব্যবহার সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল ভোগ করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। জ্ঞানভিত্তিক এই শিল্প বিপ্লবে প্রাকৃতিক সম্পদের চেয়ে দক্ষ মানবসম্পদই হবে বেশি মূল্যবান।
এ সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনার থেকে ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভষ্টক অর্জনের রুপরেখাসহ ঘোষিত প্রেক্ষিত পরিকল্পণা-২০৪১ অর্জনে বস্তুনিষ্ঠ সুপারিশ ও রূপরেখা বের হয়ে আসবে বলে আশা করেন ড. নাহিদ রশীদ ।