এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বৃহত্তর ঢাকা জেলায় বছরে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিকটন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন করছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। বৃহত্তর ঢাকা জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের সেচ কার্যক্রমের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে।
আজ বুধবার (২১ জুন ২০২৩) ঢাকাস্থ বিএডিসি সেচ ভবনে 'সেচ সম্প্রসারণে বৃহত্তর ঢাকা জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের ভূমিকা ও ভবিষ্যত সম্ভবনা' শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় এ তথ্য জানান বৃহত্তর ঢাকা জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুল ইসলাম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি আরো বলেন, 'প্রকল্পটির অধীনে ১৫৫টি সেচযন্ত্র স্থাপন, ৩৫০ কি.মি খাল পুনঃখনন, ২৯৭ কি.মি. ব্যারিড পাইপ, ১৬০ টি সেচ অবকাঠামো নির্মাণ এবং ৩১ হাজার মিটার ফিতা পাইপ সরবরাহ হওয়ায় ৩৪ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে ভূ-উপরিস্থ পানি নির্ভর আধুনিক সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ত্বরান্বিতকরণ সম্ভব হয়েছে। এর ফলে বৃহত্তর ঢাকার ৬ জেলায় প্রতিবছর ৬৯ হাজার ৪ শত ৪০ মেট্রিকটন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে যার আর্থিক মূল্য ১৭৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।'
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএডিসির চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি। মূখ্য আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ) মো. মজিবুর রহমান, বিএডিসির সচিব মো. আশরাফুজ্জামান এবং বিএডিসির প্রধান প্রকৌশলী (নির্মাণ) স্বপন কুমার হালদার। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন বিএডিসির প্রধান প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) শিবেন্দ্র নারায়ণ গোপ।
সেমিনারে বক্তরা বলেন, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায় জামশা ইউনিয়নে উত্তর জামশা মৌজায় কালিগঙ্গা নদীতে ২টি বিদ্যুতচালিত ৫ কিউসেক এলএলপি স্থাপন এবং ২ হাজার মিটার ভূগর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণের ফলে প্রায় ১ হাজার একর অতিরিক্ত জমি সেচের আওতায় এসেছে এবং পূর্বের স্থাপিত ২৭টি ডিজেল চালিত অগভীর নলকূপ বন্ধ করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন অনেক জমি সেচের আওতায় এসেছে এবং কৃষকের সেচ খরচ বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে, অপরদিকে ডিজেলের পরিবর্তে বিদ্যুৎচালিত হওয়ায় পরিবেশের উন্নতি হয়েছে। ১১ দশমিক ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মাদুলী খাল পুনঃখননের ফলে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার করিহাতা, বারিষাব ও টোক ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার একর জমির জলাবদ্ধতা দূর হয়েছে এবং সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ হয়েছে।